দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছিল, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ-কন্যা সেই অঙ্কিতাই তৃণমূলের বড় পদে!

এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত তিনি। শাস্তিস্বরূপ আদালতের নির্দেশে খুইয়েছেন চাকরি। বাংলায় প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা (Ankita Adhikari) এবার রাজনীতিতে।…

ankita adhikari daughter of ex minister paresh adhikari appointed as cooch behar tmc secretary

এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত তিনি। শাস্তিস্বরূপ আদালতের নির্দেশে খুইয়েছেন চাকরি। বাংলায় প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা (Ankita Adhikari) এবার রাজনীতিতে। অঙ্কিতা অধিকারীকে সংগঠনে বড় পদ দিল তৃণমূল। শুক্রবার অঙ্কিতা অধিকারীকে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক পদে নিয়োগ করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটেই অঙ্কিতা অধিকারী তৃণমূলের হয়ে মেখলিগঞ্জে প্রচার সেরেছিলেন। মেখলিগঞ্জ কোচবিহার জেলার মধ্যে হলেও এই বিধানসভাটি জলপাইগুড়ি লোকসভার অন্তর্গত। সেখান থেকেই তাঁর বাবা পরেশ অধিকারী বিধায়ক। ওই কেন্দ্রে ভাল ফল করেছে জোড়-ফুল শিবির। জলপাইগুড়ি লোকসভাতেও ফুটেছে ঘাস-ফুল। মনে করা হচ্ছে, সেই ফলেরই পুরস্কার পেলেন অঙ্কিতা।

   

রেলের টিকিটে বড় বদল, না জানলেই বিপদ

কোচবিহার জেলা তৃণমূল দফতরে অঙ্কিতার হাতে সংগঠনে দায়িত্বপূর্ণ পদের নিয়োগপত্র তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দেব ভৌমিক। খুশি পরেশ-কন্যা। অঙ্কিতা বলেছেন, ‘কোচবিহারের জেলা সভাপতির নির্দেশে আমায় যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে পালনের চেষ্টা করব। বিগত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে বাবার সঙ্গে প্রচারে বেরিয়েছিলাম আগামী দিনেও যে নির্বাচন আসছে তাতেও সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব, দলকে জেতানোর চেষ্টা করব।’

গণনার দিন দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় দুর্যোগের আশঙ্কা, হলুদ সতর্কতা জারি

কোন যুক্তিতে সংগঠনের বড় পদে অঙ্কিতা অধিকারী তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী দলের হয়ে লড়াই করেছেন। ওঁদের পরিবার একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, পরেশ অধিকারীর ছেলের অকালপ্রয়াণ হয়েছে। তার ফলে অঙ্কিতাকে সময় দিতে হচ্ছে। এই লোকসভা নির্বাচনে মেখলিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় আমরা জয় পেয়েছি। আমাদের পাশে বাসিন্দারা। এই জয়ের জন্য অঙ্কিতা অধিকারীকে আমরা জেলা সম্পাদক পদ দিয়েছি।’

তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। পদ্ম শিবিরের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেছেন, ‘শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে যারঁ চাকরি গিয়েছিল, তাঁকেই দলের নেতার পদ দেওয়া হল। তৃণমূল যে দুর্নীতিগ্রস্ত দল এই ঘটনায় ফের তা প্রমাণিত।’