ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার (Uttar 24 Pargana) দত্তপুকুর নীলগঞ্জে। প্রবল বিস্ফেরণে চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। ঠিক যেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পরিস্থিতি দত্তপুকুরে। বাজি নাকি বোমা তৈরির কারখানা উঠছে প্রশ্ন।আইনি বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা এই বেআইনি বাজি কারখানায় টাকা দিত। এমনকি এই বাজির পিছনে তৈরি বোমা যোগান দেওয়া হতো শাসকদলের কাছে।
এর আগে এগরা, মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর মন্ত্রিসভায় বৈঠক হয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে জানিয়েছিল কোনও বেআইনি বাজি কারখানা করা যাবে না। এমনকি সেই সময় পুলিশেরও তৎপর ভূমিকা ছিল। তবে এবার শীর্ষ নেত্রীর কথা মানলেন না দলের রাজ্য মন্ত্রী। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছত্রছায়াতে এই বেআইনি বাজি কারখানার আদলে বোমা তৈরির কাজ চলছিল।
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝলসানো রক্তাক্ত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ। চারিদিকে শুধু হাহাকার। ক্ষোভে ফুসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বাজি কারখানা বন্ধ করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা কোনও মতেই শুনছিল না।
বাড়ির মালিক শামসুর আলীকে কারখানা বন্ধ করতে বললে সে তৃণমূল দলের বেশ কিছু নেতা নেত্রীকে নিয়ে আসে। এবং হুমকি দেয় যে, বাজি কারখানা তৈরিতে বাধা দিলে সোজা থানায় নিয়ে গিয়ে জেলে ভরবে।
তবে প্রশ্ন একটাই শীর্ষ নেত্রীর নির্দেশ সত্বেও কিভাবে আইন ভঙ্গ করে বেআইনি বাজি কারখানা তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রীকে তোয়াক্কা না করে দলের অন্দরে চলেছে জল্পনা। বাড়ির মালিক হলো তৃণমূলের ঘনিষ্ট। রাজ্য তৃণমূল নেতার সহমতেই বাজির পিছনে বোমা তৈরির বিশাল কারবার। যার ফলে আজ প্রাণ হারাতে হলো বহু মানুষকে। এমনকি এলাকার বিধায়ক সব বিষয়ে জানত। থানায় নোটিশ দেওয়া হয় তবে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।
এই বিষয়ে এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন, ‘এলাকায় যে বাজি কারখানা আছে সেটা আমি জানতাম না। আইএসএফের একটি ছেলে রমজান সে নাকি এই বাজি কারখানা অপারেট করে। আমরা শুনিনি কোনও বাজি কারখানার কথা। আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি। আমি কিছুই জানতাম না। জানলে ব্যবস্থা করতাম।