TMC: সাংসদ শিশির অধিকারী ২৫ কোটি টাকা চুরি করেছেন, অভিযোগ মন্ত্রী পুত্রের

তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সরাসরি দলত্যাগ না করেও তিনি বিজেপি শিবিরে চলে গেছেন। ফলে তাঁকে ঘিরে অধিকারী বনাম গিরি পরিবারের রাজনৈতিক সংঘাত…

sisir adhikari

তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সরাসরি দলত্যাগ না করেও তিনি বিজেপি শিবিরে চলে গেছেন। ফলে তাঁকে ঘিরে অধিকারী বনাম গিরি পরিবারের রাজনৈতিক সংঘাত ক্রমে তীব্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাম আমল থেকেই তৃণমূল ছিল এই দুই শিবিরে বিভক্ত।

লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি হিসেবে কাঁথি ৩ ব্লকের মারিশদা যুব তৃণমূলে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারী ২৫ কোটি টাকা চুরি করেছেন। প্রকাশ্য জনসভা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। তার এই বক্তব্যের পর জেলার রাজনৈতিক মলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সাংসদ কোটার ২৫ কোটি টাকা চুরি করেছেন বলে প্রকাশ্য কর্মী সভায় কটাক্ষ করেন যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন ” শিশির অধিকারী সাংসদ কোটায় ২৫ কোটি টাকা চুরি করেছেন। যদি দম থাকে, ওই পাঁচ বছরে কাঁথির মানুষকে হিসাব দিন। একাধিক ব্লকের মানুষ ওই টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা ভোট দিয়েছিলাম বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া ফুলের প্রতীকে আপনি সাংসদ হয়েছিলেন।

তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতা অসীম মিশ্র বলেন ” রাজ্য সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা হিসাব দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি বারবার তল্লাশি চালাচ্ছে। বাংলা তৃণমূল নেতা থেকে মন্ত্রীরা লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখানেই সম্মানীয় সাংসদ শিশির অধিকারীর সাংসদ কোটা টাকা হিসেব চাইছে “।

সুপ্রকাশ গিরি আরও বলেন ” শুভেন্দুবাবু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না আপনার কাছে কতগুলো এমএলএ আছে! উন্নয়ন করতে হলে দিদির পাশে, দেশের মানুষকে ধাপ্পা দিতে হলে মোদীর পাশে “। শুভেন্দু অধিকারী’কে কটাক্ষ করে সুপ্রকাশ বলেন ” লোকসভা নির্বাচনে আড়াই লাখ ভোটে বাবাকে জিতে বলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো! নন্দীগ্রামের পঞ্চাশ হাজার ভোটে না জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। তুমি নন্দীগ্রামে জোতেনি, ঘুরপথে লোডশেডিং এমএলএ “।