Loksabha Election 2024: চব্বিশের ভোটে শুভেন্দুর নজর বুথে

চব্বিশের ভোটে (Loksabha Election 2024) প্রতিরোধের ডাক শুভেন্দু অধিকারীর। বুথ স্তরে মজবুত সংগঠন তৈরির বার্তা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘৫০ হাজার বুথে সংগঠন রয়েছে।…

চব্বিশের ভোটে (Loksabha Election 2024) প্রতিরোধের ডাক শুভেন্দু অধিকারীর। বুথ স্তরে মজবুত সংগঠন তৈরির বার্তা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘৫০ হাজার বুথে সংগঠন রয়েছে। ভোটের সময় এই সংখ্যাটা বাড়ানোর কাজে আছি আমরা। দুটো জিনিস লক্ষ্য। মানুষ যেন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রযোগ করতে পারে। প্রয়োজনে প্রতিরোধেরও দরকার আছে।’

রাজ্যে ৮০ হাজার ৫৩০টি বুথ। এর মধ্যে ৫৪ হাজার বুথে বিজেপির কমিটি রয়েছে বলে তাদের দাবি। যদিও তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খবর পায় অধিকাংশ বুথে কমিটিই তৈরি করা যায়নি। অনেক জায়গায় আবার বুথ কমিটির সদস্যের হদিশই মেলেনি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বারবার ভর্ৎসিত হতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে।

   

এরপর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কড়া নির্দেশ দেয়, বুথস্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই হবে। নাহলে চব্বিশের লোকসভা ভোটে ভাল ফল হবে না। তখন, বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নামে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে ৪ দফায় বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু তাও সব বুথে কমিটি গড়ে তুলতে পারেনি পদ্মশিবির। উত্তরবঙ্গের অবস্থা তুলনায় ভালো। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গ মাথা ব্যথার কারণ।

উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। এই জেলাগুলিতে বিজেপির বুথস্তরের সংগঠন তেমন মজবুত নয়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক জায়গায় বুথ কমিটির সদস্যই জোগাড় করা যায়নি। বুথস্তরে দুর্বল সংগঠন। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের দেওয়া একাধিক কর্মসূচির টার্গেট ছুঁতে ব্যর্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। যেমন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল তেইশের জুন থেকে অগাস্ট – এই তিন মাসের মধ্যে রাজ্যজুড়ে ১ হাজার সভা করতে হবে। এই টার্গেট পূরণ তো দূরের কথা, টার্গেটের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি।

এবার সামনে লোকসভা ভোট। হাতে আর সময় নেই। শুভেন্দু চাইছেন রাজ্য জুড়ে বুথস্তরে সংগঠন আরও জোরদার করতে। যাতে প্রয়োজনে প্রতিরোধ করা যায়। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই৷ পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট হিসাবে আসেন নেতারা৷ সব হাওয়ায় হাওয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু আছে। বিজেপির সংগঠন হল গোরুর গাড়ির হেডলাইট৷ যা আছে সেটাও গোষ্ঠীবাজী।’