Independence Day: রাজ্যপাল-রাজ্যসরকার সংঘাতের আবহ এখন নেই। যেমন নেই জগদীপ ধনখড়। তাঁর টুইট নিয়ে টটস্থ থাকে না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তবে ইডি-সিবিআই ধরপাকড়ে প্রবল বিড়ম্বনায় সরকার। আরও সিবিআই অভিযানের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছ্ন,সিবিআই আমার বাড়িতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নামবেন। ১৬ আগস্ট থেকে ‘খেলা হবে’ ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রথা মেনে রাজভবনে চা চক্রের আয়োজনে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল লা গনেশানের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী যান রাজভবনে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কলকাতায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
সূত্রের খবর, সিবিআই ও ইডি অভিযান আরও বাড়বে বলেই দলের ঘনিষ্ট মহলে আলোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি ভাষণে সেরকমই ইঙ্গিত দেন। তাঁর ভাষণের পরেই রাজমহলে জল্পনা, সিবিআই বা ইডি কি আরও বড় লাফ মারতে তৈরি।
রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, এমনি জিততে পারবে না। ববিকে অ্যারেস্ট কর, অরূপকে অ্যারেস্ট কর, মালাকে অ্যারেস্ট কর, শুভাশিসকে অ্যারেস্ট কর, কেষ্টকে অ্যারেস্ট কর…। আমি বলি কবে কবে অ্যারেস্ট করবে বল না নামগুলো। আমি দরকার হলে আমার সব সহকর্মীদের নিয়ে জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দেব। এসো, দেখি কত জেল তোমার আছে।
সোমবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে রাজভবনে চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যাওয়া স্বাভাবিক প্রশাসনিক রীতি। তবে রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে মঙ্গলবার মমতা কী করতে চলেছেন সেই দিকে।