তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জেরবার দুর্নীতিতে। বিরোধীরা? বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপির আভ্যন্তরিণ রিপোর্ট সংগঠন আলগা। এমন পরিস্থিতিতেও পঞ্চায়েত ভোটে টি়এমসি জয় ধরে রাখবে বলেই রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসছে।
তাৎপর্যপূর্ণ, বিজেপি নয় বরং রাজ্যে সরকার বিরোধী ভোটার গত পুরভোট থেকে ফের বাম শিবিরে যাচ্ছেন। বিজেপির তুলনায় সিপিআইএমের ভোট বেড়েছে তাও স্বীকার করে নিচ্ছে শাসকদল।
বছর ফুরোলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা জায়গা করবে সুকান্ত-শুভেন্দুরা? প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি মহলেই। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখা, বারবার জেলায় গিয়ে সমর্থকদের গরম করার চেষ্টা করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু সমস্ত জেলাতেই সংগঠন যে আলগা, তা ভালোভাবে আন্দাজ করতে পারছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক নেতাদের দিল্লি থেকে উড়িয়ে এনে বসে যাওয়া নেতাদের ফেরাতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। দিনের পর দিন বিজেপিতে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই মুহুর্তে সিবিআই হেফাজতে। বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলায় বিরাট সভা করে জনমত গড়ার চেষ্টা করছিলেন সুকান্ত মজুমদাররা। এই জেলাতেই সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মুখ ফেরাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। জেলার অন্যতম দাপুটে নেতা দুধকুমার মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা এই মুহুর্তে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুরুলীধরের নেতাদের ওপর ভরসা না করে বরং দীন দয়াল উপাধ্যায়ের নেতাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
তবে সংগঠন নিয়ে বিশেষ জোর দিয়েছে বামেরা। জেলায় জেলায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএম সহ অন্যান্য বাম দলগুলিতে যোগদানের হিড়িক দেখে সেটা বোঝা যাচ্ছে। আর বছরে একটা ব্রিগেড নয়, বরং একেবারে নীচুস্তরের সংগঠনেও জোর দিতে চাইছেন রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা জরুরি বলেই মনে করছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। সেটা ফল হাতেনাতে ধরাও পড়েছে একাধিক মিছিলে।
দুর্নীতি ইস্যুতে কী এবার জায়গা ফিরে পাবে বিজেপি? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠন পুনরায় উদ্ধার করতে না পারলে লোকসসভা নির্বাচনে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে তাঁদেরকে। যদিও তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, দুর্নীতি ইস্যুতে দুই এক জন তৃণমূল নেতাদের নাম জড়ালেও এই মুহুর্তে নির্বাচন হলে তাঁদের জয় নিশ্চিত।