“পড়াশুনার অভাব আছে” মমতাকে বিঁধলেন অগ্নিমিত্রা

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকুম্ভ নিয়ে মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি মমতার ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ…

Agnimitra.jpg

বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকুম্ভ নিয়ে মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি মমতার ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন অগ্নিমিত্রা বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুনেছি ধর্মীয় ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কিন্তু হয়তো সেই সময় শিক্ষাব্যবস্থার গলদ ছিল, কারণ উনি ঠিকমতো পড়াশোনা করেননি। উনার কথাগুলো শুনলেই বোঝা যায় যে প্রাথমিক জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি উনি ধর্মীয় ইতিহাস পড়েও থাকেন, তাহলে সেটা সঠিকভাবে পড়া উচিত ছিল। এখন আমরা যা দেখছি, তা হলো উনি শুধুমাত্র তোষণের রাজনীতি করছেন। আজ তিনি মহাকুম্ভ সম্পর্কে যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভুল।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার মন্তব্য করেছিলেন যে মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর ফিরে আসে, এই দাবি সত্য নয়। তিনি বলেন, “১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ আসে—এটা ঠিক নয়। যদি আমি ভুল হই, তাহলে আমাকে সংশোধন করুন। আমার জানা মতে, পুণ্য স্নান প্রতি বছরই হয়। আসলে, আমরা গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজন করি। তাই আমি পুণ্য স্নানের বিষয়টি জানি।” অগ্নিমিত্রা পালের পাশাপাশি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও মমতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুধু কুম্ভ প্রসঙ্গেই নয়, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও তিনি রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন।

Advertisements

আমডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া বোমা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই, কোনো পুলিশি ব্যবস্থা নেই। যারা সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, তারা অবাধে কাজ করছে। বামদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যবসা করছে, অন্য রাজ্যে লোক পাঠাচ্ছে, আর এখানকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।” দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোটার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কারসাজি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল দিল্লির মতোই এখানে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকায় ভোটারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। লাখ লাখ নতুন ভোটার যোগ হচ্ছে, কিন্তু এরা কোথা থেকে আসছে? এরা রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড পাচ্ছে এবং সারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে।”