দেশজুড়ে আন্দোলন। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ভারত। বারবার প্রশ্নের মুখে মহিলা নিরাপত্তা। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুললেন সদগুরু। নারী নিরাপত্তার জন্য একটি জাতীয় স্তরের এজেন্সি চালু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গ সদগুরু বলেছেন, ‘কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এখনই পদক্ষেপ করা দরকার।’ এরপরই তাঁর দাবি, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্থার বাইরেও এই দেশে নারীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধের মোকাবিলা করার জন্য একটি জাতীয় সংস্থা থাকা প্রয়োজন, কারণ এখন যা ঘটছে তা জাতির উপর একটি নিষ্ঠুর পরিহাস।’
It is time that there is a National agency to address the most horrific crimes against Women in this country, beyond state agencies, as what is happening right now is a cruel joke on the Nation. No citizen with a beating heart in Bharat can just watch this go by. Action Now! -Sg… https://t.co/CwRqMso7Bu
— Sadhguru (@SadhguruJV) August 16, 2024
এক্স হ্যান্ডেলে সদগুরু লিখেছেন,এই ঘটনার পর সিস্টেমে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। দেশ জুড়ে মহিলাদের ওপর প্রতিনিয়ত যে অত্যাচারের ঘটনা ঘটে চলেছে, তার প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সদগুরু।
‘দয়া করে বলবেন না’, সাংবাদিক দেখেই রীতিমত কাকুতিমিনতি ডাঃ সন্দীপের
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কে নাম উটে এসেছে সদগুরুর। খনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করে, কখনও নারীবাদের বিপক্ষে গিয়ে, কখনও আবার ‘ইশা ফাউন্ডেশন’ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর নাম। নানা কারণে খবরে থাকা এই জগ্গি বাসুদেব ওরফে সদ্গুরু আসলে কে?
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে সদগুরুর বিরুদ্ধে৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোয়ম্বাটুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর শ্বশুর তথা স্ত্রীর বিজির বাবা৷ এমনকী আশ্রমের কোনও একজনের সঙ্গে সদগুরুর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগও আনেন তিনি৷ বিজির বাবার দাবি, বিজি সদগুরু ও ওই মহিলার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ বিজির বাবা আরও জানান, তাঁদের মধ্যে মৃতদেহ দাহ করার নিয়ম নেই৷ কিন্তু জোড় করে বিজির দেহ সৎকার করেছিলেন সদগুরু৷ উল্টে দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর মহা সমাধি হয়েছে৷