হড়পা বানে তছনছ উত্তর সিকিমের একাংশ। নিখোঁজ সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। আটকে বহু পর্যটক। যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এমনতবস্থায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করল সেনা বাহিনী। সিকিম সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সেনাবাহিনী স্যাটেলাইট যোগাযোগ স্থাপন করেছে সড়কে সেনাবাহিনীর গাড়িতে। পর্যটকদের তাদের স্বজনদের ফোন করে তাদের সুস্থতা জানিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সেনা। এছাড়াও পর্যটন কর্মকর্তা ও কর্মীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।”
অপর দিকে, ১৭ মাউন্ট ডিভিশন থেকে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চ্যুংথ্যাং এলাকায় জলস্তর বাড়ছে। এই পরিস্থিতি ছিল সকাল ১১:৩০ টার সময়ে। উত্তর সিকিমের উঁচু অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলেই জলস্তর বেড়ে চলেছে। সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থেকে সকলকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নদী লাইন এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতি গোয়েল জানিয়েছেন যে, “জেলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সমস্ত ব্যাক্তিকে সময়মতো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কালীঝোরা, সেভক এবং ত্রিবেণী থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।”
ত্রাণ শিবির সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রীতি গোয়েল বলেন, “আমরা তিস্তা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শিবির খুলেছি যেখানে দার্জিলিং থেকে কিছু জন এবং কালিম্পং থেকে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে্ন।”