চারটে বিধায়ক পারল না CPIM কে রুখতে, চন্দননগরে জয়ের পর এক্সক্লুসিভ মহ: সেলিম

উপনির্বাচনে কামব্যাক বামেদের। চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷ ১৩০ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। আসনটি আগে বিজেপির ছিল। সেখান থেকে মোড়…

উপনির্বাচনে কামব্যাক বামেদের। চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়৷ ১৩০ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। আসনটি আগে বিজেপির ছিল। সেখান থেকে মোড় ঘুরিয়েছেন সিপিআইপ্রার্থী। আগামীর লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে আলিমুদ্দিনের নেতারা। এর আগে পুরনিগম ভোটে চন্দননগর তৃ়ণমূল কংগ্রেস দখল করলেও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় চূড়ান্ত পরাজয় হয় পদ্ম শিবিরের। চন্দননগরে বিরোধী শক্তি হিসেবে সিপিআইএম উঠে আসে।

ফলাফলের পর সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কলকাতা ২৪x৭ কে জানিয়েছেন, উপনির্বাচন মানেই তো চারটে বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার ভোট করাবে বলে। চন্দননগরে সন্ত্রাস না হলেও সন্ত্রাসের আবহ ছিল৷ আর তৃণমূলের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ৷ সেটা ভালো করেই তারা বুঝতে পেরেছে। তাই হাওড়ায় এখনও নির্বাচন করাতে দিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, চন্দননগরে সংগঠন আমাদের মজবুত। আগেও আমরা চন্দননগর বোর্ড চালিয়েছি সেটা মানুষ দেখেছে। গত কয়েক মাসে আমাদের সমর্থন বেড়েছে। সেটা আন্দোলনে হোক অথবা নির্বাচন। মানুষের সংখ্যা সেটার প্রমাণ দিচ্ছে। তাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদিন গাল দিচ্ছেন। আগে দুরবীন দিয়ে দেখতে পেতেন না৷ এখন প্রতিদিন গাল দিচ্ছেন। কালও দিয়েছেন।

গত বিধানসভার নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় সংগঠনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সিপিআইএম৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বসে যাওয়া অথবা সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া কর্মীদের ফেরানোই এখন তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। সেই জায়গাতেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন রাজ্য থেকে জেলা স্তরের নেতারা৷ তার একটি ফল হাতেনাতে পেল সিপিআইএম।