ঠাকুরনগর থেকে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, মতুয়া রাজনীতি সরগরম

Abhishek Banerjee Extends Birthday Greetings to Prime Minister Modi

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মতুয়া রাজনীতি সরগরম। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া তীর্থ ঠাকুরবাড়িতে আসার আগে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখানো হয় কালো পতাকা। বিজেপি সমর্থকরা মমতা চোর গোরু চোর বলেন। পাল্টা তৃ়ণমূল সমর্থকরা বলেন মোদী চোর। তুলকালাম পরিস্থিতি।

Advertisements

ভাঙা হয় অভিষেকের জন্য তৈরি তোরণ। ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দর্শন করেন মন্দির। 

পরে অভিষেক বলেন, আমি আবার ৩ মাস পর ঠাকুরনগরে আসব। তোমার দম থাকলে আটকে দেখাও। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগেই মন্দির চত্ত্বরে ওঠে ‘গো ব্যাক স্লোগান।’ দেখা যায় কালো পতাকা নিয়ে মতুয়াদের বিক্ষোভ। রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরনগর। রবিবার তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গাইঘাটা থেকে ঠাকুরনগরের উদ্দেশে রওনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ৩ টের পর মতুয়া সম্প্রদায়ের পিঠস্থান ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে যান অভিষেক। ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরের পাশের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।

সকালেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর বলেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে তারপর গোবর দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হবে গোটা মন্দির। এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনুকে বিঁধে অভিষেক বলেন, ““শান্তনু ঠাকুর যেখানে থাকেন সেখানে জলের ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছে। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে, বিক্ষোভ করছে সেটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা।“

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “কেউ যদি ভাবে গুরুচাঁদ ঠাকুর ও হরিচাঁদ ঠাকুরের আন্দোলনকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করব। তাঁকে বলব, এই ঠাকুরবাড়ি তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। মানুষের আবেগের, শ্রদ্ধার, প্রার্থনার জায়গা এই ঠাকুরবাড়ি। আমরা চাইলে ভেঙে দিয়ে ঢুকে যেতে পারব। কিন্তু আমরা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।“

Advertisements

অভিষেক আরও বলেন, “ঠাকুরবাড়িতে এসে পুজো দিয়েছি। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের পূণ্যভূমিতে এসে আগামী দিনে লড়াইয়ের শক্তি নিলাম।“

ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে মন্দির চত্বর এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। জানা যায়, অভিষেকের আসা নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মানুষ বলেছেন যা মন্দিরে প্রবেশ করতে দেবেন না তাঁকে। তাদের দাবি, যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবেন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জন্য, ততক্ষণ প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা তাঁকে।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে পোস্টার পড়েছে ঠাকুরবাড়ির মন্দির চত্বর এলাকায়, তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পোস্টারে লেখা রয়েছে হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী কুরুচিকর মন্তব্য করে অপমান করেছে তার জন্য ধিক্কার। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ৷