মেদিনীপুর হাসপাতালে বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) । বুধবার ফলতায় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন এবং রাজ্য সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কিছু দিন আগে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের পাঁচজন প্রসূতি একসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম ছিল মামণি রুইদাস। দুর্ভাগ্যক্রমে, এর পরেই ওই পাঁচজন প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং মামণি রুইদাস মারা যান। অভিযোগ উঠেছে যে, ওই প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এই ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই ব্যাপক চর্চা শুরু হয় এবং রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) বলেন, “গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “যে কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। সরকার এই ঘটনার তদন্তে সিআইডিকে নিয়োগ করেছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এছাড়া, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এটি কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হবে, এবং যতক্ষণ না ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়, ততদিন এটি হাসপাতালগুলিতে ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিলেও, এই ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর, আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে রাজ্য সরকার এসব ঘটনার জন্য যথাযথ দায়বদ্ধ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে, এই ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি, আরও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মেদিনীপুরের এই ঘটনাটি পুরো রাজ্যবাসীর কাছে একটি সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি না ঘটে এবং মানুষের জীবন সুরক্ষিত থাকে।
এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ধরনের গাফিলতির জন্য যারা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।