ইচ্ছা করে ইচ্ছাপূরণ, অবসর গ্রহণকালে শিক্ষিকা স্কুলে বসালেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি

শম্পা দাস মেদিনীপুর (Medinipur ) শহরের কর্ণেলগোলা শ্রী নারায়ণ বিদ্যাভবন বালিকা বিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি জীবন বিজ্ঞান পড়ান। ১৯৮৯ সালের এই স্কুলে যোগ দিয়ে চলতি মাসের ৩১ তারিখ চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করবেন এই শিক্ষিকা।

statue of Vidyasagar in the school

নিজস্ব সংবাদাতা, মেদিনীপুর: শম্পা দাস মেদিনীপুর (Medinipur ) শহরের কর্ণেলগোলা শ্রী নারায়ণ বিদ্যাভবন বালিকা বিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি জীবন বিজ্ঞান পড়ান। ১৯৮৯ সালের এই স্কুলে যোগ দিয়ে চলতি মাসের ৩১ তারিখ চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করবেন এই শিক্ষিকা। তার আগেই করলেন ইচ্ছাপূরণ। স্কুল পরিচালন সমিতির অনুমতি নিয়ে একটি বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসালেন।

সেই মূর্তি উন্মোচনও করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। তারপর তা নিয়ে এক লক্ষ টাকার স্কলারশিপ দিলেন। মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর এলাকায় শম্পাদেবীর বাড়ি। গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ স্বামী হরিপ্রসাদ সরকার।

আমেরিকায় একমাত্র ছেলে থাকেন। শম্পা দাস সরকার বলেন, স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করার আগে স্কুলে একটি বিদ্যাসাগর এর আবক্ষ মূর্তি বসানোর ইচ্ছে প্রকাশ করি। সেই মতো আজ সেই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত হলেও যেহেতু ভূমিপুত্র বিদ্যাসাগর তাই তাঁর মূর্তি বসানোরই ইচ্ছে ছিল। নারী শিক্ষার অগ্রদূত এর জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে গিয়ে ঘুরে দেখেছি বছর ১৫ আগে।

আর সময় হয়নি সেখানে যাওয়ার। ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করতে স্কুল প্রাঙ্গণে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হল।তাছাড়া পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এবং একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারিদের পুরস্কৃত করা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তকেও পুরস্কৃত করার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার হাতে এক লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।’

মধ্যাহ্ন ভোজনেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। স্কুলের ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের জন্য দুপুরে মুরগি মাংস করান। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা সেন জানান, অবসরের সময় ওনার ইচ্ছে পূরণ করেছেন।