২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন একঝাঁক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

একুশের বিধানসভা, চব্বিশের লোকসভার পর উপনির্বাচনেও ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। এরই মধ্যে বিজেপির জন্য খারাপ খবর। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছে একঝাঁক…

West Bengal BJP Chalks Out Strategy to Counter TMC's SIR Campaign, Key Meeting Held in Delhi

একুশের বিধানসভা, চব্বিশের লোকসভার পর উপনির্বাচনেও ধাক্কা খেয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। এরই মধ্যে বিজেপির জন্য খারাপ খবর। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছে একঝাঁক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। তালিকায় নাম রয়েছে এক সাংসদ ও এক প্রাক্তন সাংসদ সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী বিজেপি নেতার।

Advertisements

যদিও এই নিয়ে একেবারেই স্পিকটি নট ঘাসফুল এবং পদ্ম শিবির। আপাতত বঙ্গ বিজেপির অন্দরে চর্চা চলছে, গোপনে কোন কোন নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে ক্ষুব্ধ এক নেতা। মূলত তিনিই তৃণমূলের সঙ্গে বাকি নেতাদের যোগাযোগের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আবার এই দলবদল নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বুধবার তিনি দাবি করেছেন, বিজেপির দুই সাংসদ ২১ জুলাই তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। যদিও সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন, তাও জানিয়েছেন তিনি।

কপিবাগানে ঝামেলা! তড়িঘড়ি আদালতে বিজেপির দিলীপ, জামিন পেলেন?

এদিকে চব্বিশের ভোটে ভরাডুবি হলেও বঙ্গ বিজেপি এখন থেকেই টার্গেট করেছে ছাব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে। সেই অনুযায়ী দলে খুব তাড়াতাড়ি একাধিক সাংগাঠনিক পরিবর্তন আনা হবে বলে খবর। কিন্তু তার আগেই দল ভেঙে গেলে দিল্ললির নেতাদের কাছে যে বঙ্গ বিজেপির প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশকে সফল করতে মরিয়া তৃণমূল শিবির। শুক্রবার থেকেই কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করবেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, ইকোপার্ক, সেন্ট্রাল পার্ক ও বড় বাজারের ধর্মশালাগুলিতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিয়ালদহ শাখায় ফের যাত্রী ভোগান্তি! ২০-২১ জুলাই বাতিল বহু লোকাল ট্রেন

এই বছর মূল মঞ্চের আয়তন করা হচ্ছে ৫২/২৪ ফুট। সেখানেই থাকবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নবনির্বাচিত সাংসদ, বিধায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীরা সেই মঞ্চে থাকবেন। এছাড়াও থাকছে আরও একটি মঞ্চ। সেটির আয়তন ৪৮/২৪ ফুট। সেই মঞ্চে বসবেন বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলররা। এছাড়া একটি আলাদা মঞ্চ তৈরি হচ্ছে শহিদদের পরিবারের জন্য।