জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুরে পাল পাল হাতি এসে ধান ক্ষেত নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছে। মাঠ জুড়ে রে ফলে রয়েছে সোনার ফসল, তাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দলে দলে হাতি ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক। জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুরে নোধাবাড়িগ্রামে রাত পাহারার ব্যবস্থায় স্থানীয়রা।
উত্তর সিকিমের ধ্বংসলীলার ফলে বন্যপ্রাণীদের খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। তার জেরেই এত হাতি ছুটে আসছে লোকালয়ে। তার জেরেই ঘুম উড়েছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের। এক কৃষকের কথায়, ধান পেকেছে, কিন্তু আনতে পারব কিনা ঠিক নেই। প্রচুর হাতি আসছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সব। হাতির অত্যাচারে কিছুই আর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। দিনের খেতে কাজ করি। আমরা রাতে আবার পাহারা দিই।
দুদিন আগে জলদাপাড়া থেকে একটি হাতি চলে গেছিল কোচবিহারে। দলছুট হাতির তাণ্ডবে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২-এর উনিশবিশার বাসিন্দারা আতঙ্কে ছিলেন। শনিবার দুটি কুনকি হাতি এনে ক্রেনের সাহায্যে হাতিটিকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই দৃশ্য দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। হাতি চলে যাওয়ায় সাময়িক স্বস্তিতে এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে।ওই হাতিকে ট্রাকে করে জলপাইগুড়ির জলদাপাড়ার জঙ্গলে ফেরানো হয়েছে।
এবার জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুরে হাতির পাল এসেছে। এর জেরে সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার বনবি়ভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।