টানা তিন দিন ধরে জেরার পর লালা ঘনিষ্ট গুরুপদ মাজিকে গ্রেফতার করল ইডি৷ অভিযোগ, লালার ( Lala) একাধিক সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্ব ছিল গুরুপদর ওপরে৷ এমনকি লালার হয়ে কালো টাকা খাটানোর কাজ করত গুরুপদ৷
আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে ছিল গুরুপদ৷ এর আগে সিবিআই তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছিল লালার তিন সাগরেদ, গুরুপদ মাজি, নারায়ণ নন্দ ও জয়দেব মণ্ডলকে। গত নভেম্বর মাসে তাদের জামিন দেয় আদালত৷ কিন্তু দেশের বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না। নির্দেশ ছিল আদালতের।
চলতি মাসের প্রথমেই ইডির তরফে ফের তলব করা হয়েছিল এই তিনজনকে। একটানা চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সিবিআই সূত্রে খবর, এই কয়লা পাচার চক্র কীভাবে চলে? কারা এর সঙ্গে জড়িত? লালার কোথায় কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে? তা জিজ্ঞাসা করা হয় গুরুপদকে। উত্তরে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত দেড় বছর ধরে কয়লা পাচারকাণ্ডের তলব শুরু করেছে সিবিআই৷ এই ঘটনায় নাম জড়ায় পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা অনুপ মাজি ওরফে লালার। কয়লা পাচার চক্রে বিদেশে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠে আসতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। ঘটনায় একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম জড়িয়েছে। নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার৷
কয়লা পাচার কান্ডে নিজাম প্যালেসে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে তলব করেছে সিবিআই৷ সেইসঙ্গে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, নথি সহ একাধিক তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷