Adenoviruses: বাংলায় অ্যাডিনো আতঙ্ক বাড়িয়ে নয় দিনে ৩৬ জন শিশুর মৃত্যু

রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenoviruses) দাপট। রবিবার সকালেও আরও দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Adenoviruses panic in Bengal

রাজ্যজুড়ে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenoviruses) দাপট। রবিবার সকালেও আরও দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার ভোরে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। টানা নয় দিনে ৩৬ জন শিশুর মৃত্যু ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের।

জানা গেছে, ওই দুই শিশু মেটিয়াবুরুজ এবং মিনাখার বাসিন্দা। মেটিয়াবুরুজ সংলগ্ন নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা আতিফা খাতুন। শিশুটির বয়স এক বছর সাত মাস বলে জানা গেছে। গত রবিবার জ্বর-সর্দি নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিজনরা। শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ক্রমাগত। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

অন্যদিকে, এদিন ভোরেই প্রাণ হারিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখা থানার অন্তর্গত চৈতল এলাকার এক শিশু। নাম আরমান গাজী। বয়স চার মাস। ছয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ক্রমাগত। এদিন ভোর ৪ টে ২০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুই আতিফা-আরমানের মা-বাবারা। শোকের ছায়া পরিবারে।

সারা শহর জুড়ে এই মুহুর্তে অন্যতম আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। এখন সাধারণ জ্বর হলেও মা-বাবা অ্যাডিনোভাইরাস ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছেন। আবার উল্টো দিকে, অ্যাডিনো-আক্রান্ত শিশুকে সিজন-চেঞ্জের জ্বর ভেবে ফেলে রাখছেন অভিভাবকরা। যে স্কুলের শিশুরা অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বেশিরভাগেরই ওপিডিতে চিকিৎসা চলছে। ৭০-৮০ শতাংশ ক্রিটিকাল রোগী বর্তমানে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। আবার ব্লাড ব্যাঙ্কের সমস্যার কথাও উঠে আসছে একাধিক জায়গায়।