রামপুরহাটের (Rampurhat) মুনসুবা মোড় এলাকায় পুলিশ গতকাল রাতে একটি ট্রাক আটক করে তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় ১৬ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই বিস্ফোরকটি ৩২০ বস্তায় ভর্তি ছিল এবং একেকটি বস্তার ওজন ছিল ৫০ কেজি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এভাবে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় বড় ধরনের নাশকতা চালানো।
ঘটনা তদন্তে রামপুরহাট (Rampurhat) থানার পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনী নেমেছে। পুলিশের গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই তারা নাকাচেকিংয়ের ব্যবস্থা করে এবং মুনসুবা মোড়ে একটি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীন ট্রাকের ভেতর থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এটি যে বিপুল পরিমাণে বিপজ্জনক এবং তা এলাকার নিরাপত্তা প্রশ্নের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তা স্পষ্ট।
বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়ির চালক ও খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তাদের কাছে বিস্ফোরক সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি, এবং তাদের কথাতেও কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এসবের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, ট্রাকটি তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের সিরশিয়া যাচ্ছিল।
এখন পুলিশ আরও তদন্ত করছে এবং আরও একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং নানা প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত নাশকতার ছক কি করা হচ্ছিল, তা নিয়ে।
এমন বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেন, সেই প্রশ্নও চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। পুলিশের সন্দেহ, এটি কোনো বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার অংশ ছিল। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, বিশেষ করে এর ফলে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা বিপদের মুখে পড়তে পারে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তারা এই বিস্ফোরক উদ্ধার করে বড় ধরনের বিপদ এড়িয়েছে।
এই ঘটনার পর এক প্রশ্ন বারবার উঠছে— কেন এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক রাস্তার পথে চলছিল? প্রশাসন এবং পুলিশ অবশ্যই এর পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।