ED Raid: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি! রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি ইডির

লোকসভা ভোটের মুখে তেড়েফুঁড়ে উঠল ইডি (ED Raid)। ১০০ দিনের কাজে ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর এমনকী কলকাতার সল্টলেকেও চলছে তল্লাশি। ধনেখালি…

ed-conducts-raid-at-different-locations-of-jharkhand

লোকসভা ভোটের মুখে তেড়েফুঁড়ে উঠল ইডি (ED Raid)। ১০০ দিনের কাজে ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর এমনকী কলকাতার সল্টলেকেও চলছে তল্লাশি। ধনেখালি ও বেলডাঙায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান বলে খবর।

প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প মনরেগা ( MGNREGA) স্কিমের টাকা ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজ করেননি, এমন অনেক প্রাপকের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা সরানো হয়েছে।

   

পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বিষয় এবং ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। পঞ্চায়েত কর্মী রথীন দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। রথীন দে নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আগে জেল খেটেছেন তিনি। বর্তমানে সাসপেন্ডেড রথীন দে।তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় সমান প্রমাণ রয়েছে। ফের পঞ্চায়েত দুর্নীতি থেকে একশো দিনের দুর্নীতি কাণ্ডে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডির দল।

অন্যদিকে, হুগলির ধনেখালিতেও ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল এক প্রাক্তন বিডিও এস কে পানের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সল্টলেকের বিদ্যাসাগর নিকেতনে ওই প্রাক্তন WBCS অফিসারের বাড়িতে ইডি তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisements