Ukraine War: ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা রাশিয়ার, বিষাক্ত হাওয়া ইউক্রেনের বাতাসে

ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার ফলে দেখা দিয়েছে পারমাণবিক বিপর্যয়। কেন্দ্রের একক পাওয়ার সিস্টেম থেকে তৃতীয় পাওয়ার…

ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার ফলে দেখা দিয়েছে পারমাণবিক বিপর্যয়। কেন্দ্রের একক পাওয়ার সিস্টেম থেকে তৃতীয় পাওয়ার ইউনিট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি ইউনিট কাজ করছে।

পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার আক্রমণে সচকিত গোটা আন্তর্জাতিক মহল। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। ইউক্রেন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পারমাণবিক নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গিয়েছে। অবস্থা সংকটজনক। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি সব ঠিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পারমাণবিক চুল্লিগুলির অবস্থা বিপদজনক। দমকল ঢুকতে পারছে না। দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা কেন্দ্র। 

রুশ হামলা রুখতে ২ বার শান্তি আলোচনায় বসেও ব্যর্থ ইউক্রেন। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চাইলেও নারাজ রাশিয়া। যুদ্ধ চলবে। তবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অসামরিক নাগরিকদের সরাতে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দ্বিতীয় দফায় উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক চলে টানা তিনঘন্টা। বিবিসির খবর, বেলারুশে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আবারও বসার আশা জানিয়েছে দু’পক্ষ।

বৈঠক শেষে এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক জানান, দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষ। এবারও আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া না গেলেও ‘মানবিক করিডর’ খুলে দিতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় আটকে পড়া মানুষের জন্য ওষুধ ও খাবার সরবরাহের বিষয়টিও নিশ্চিতে সম্মত হয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলেছি আমরা। আগামীতে আবারও আলোচনা হবে।