রোজ তো মাস্ক পড়ছেন! জানেন কি বিপদ হতে পারে

দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় পর্বের সংক্রমণ। এদিকে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে চললেও করোনাকে বাগে আনতে মাস্ক ও কোভিড বিধি পালন ছাড়া…

mask

দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় পর্বের সংক্রমণ। এদিকে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে চললেও করোনাকে বাগে আনতে মাস্ক ও কোভিড বিধি পালন ছাড়া কোনও বিকল্প নেই বলে স্পষ্টতই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মাস্ক (mask) পড়ে থাকার ফলে ক্রমেই বাড়ছে নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা। এমনকি দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হওয়ারও সম্ভবনা বাড়ছে।

আসুন জেনে নিই, দীর্ঘদিন মাস্ক পড়ে থাকার ফলে কি কি বিপদ আসতে পারে ?
ব্রণর উৎপাত : নাক-মুখ একটানা টাইট মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখার ফলে ওই অংশে খুব ঘাম হতে থাকে। যাঁদের এমনিতেই ব্রণর ধাত, তাঁদের আরো বেড়ে যায় এই সমস্যা। মুখের এই অংশ ব্রণয় ভরে যায়, ব্যথাও হয়।

ঘামের সমস্যা : গরমকাল হোক বা বর্ষাকাল, মাস্কে নাকমুখ ঢাকা থাকলে ঘাম তো হবেই! ফলে ত্বকের ওই অংশে জ্বালা করা বা র‍্যাশের সমস্যা তৈরি হয়।

লালচে ভাব : যাদের ত্বক সেনসিটিভ, মাস্ক পরলে তাদের ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার বা র‍্যাশ বেরোনোর আশঙ্কা থেকেই যায়। অনেক সময় জায়গাটা চুলকোয়, আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে। মাস্কের মেটেরিয়ালের সঙ্গে ত্বকের বিক্রিয়ায় এমন হয়ে থাকে।

ত্বকের রঙে তফাত : একটানা কোনও জায়গা চাপা থাকলে সে অংশে রঙের তফাত হয়ে যায়। এই কারণে ঘড়ির ব্যান্ডের নিচে, চটির স্ট্র্যাপের ঠিক নিচের অংশে চামড়ার রং বাকি অংশের চেয়ে হালকা দেখায়। একটানা মাস্ক পরার অভ্যেস করে ফেললে আপনার মুখেও একই অবস্থা হবে, অর্থাৎ মাস্কের ঠিক নিচের অংশটুকুর রং মুখের বাকি অংশের চেয়ে হালকা দেখাবে।

দাঁত ও মাড়ির যন্ত্রণা : দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরার কারণে মাড়ি ফুলে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা হচ্ছে।যারা দীর্ঘক্ষণ ডাবল মাস্ক পড়ে থাকেন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তাদের ডিহাইড্রেশন এবং মুখের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে একাধিক সমস্যা বাড়তে থাকছে।

তাই, মাস্ক পড়ার সময় ময়শ্চারাইজার মেখে নিন ত্বকে । ভেজা মাস্ক থেকে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে, প্রদাহ তৈরি হতে পারে। সেইজন্য বাইরে বেরোলে সঙ্গে দু’ তিনটি বাড়তি মাস্ক রাখুন। ভিজে গেলেই বদলে নিন এবং সেই সঙ্গে ত্বক খুব জ্বালা করলে বা লাল হয়ে গেলে বরফের কমপ্রেস নিতে পারেন।