Relationships: সম্পর্কের ভাঙন ঠেকানোর ১০ উপায় কী কী?

What are the 10 ways to prevent relationship breakdown?

কথায় আছে কোন জিনিষ তৈরি করা ঠিক যতটা কঠিন সেটা ভেঙে ফেলা ঠিক ততটাই সহজ৷ তেমনই হল প্রেমের সম্পর্ক (Relationships)৷ আজকাল মানুষের প্রমে পড়তে যত না সময় লাগে তার অনেক কম সময় লাগে একটা সম্পর্ক ভেঙে ফলতে৷ কিন্তু সম্পর্ক কি এতটাই ঠুনকো যে চাইলেন ভেঙে ফেলা যাবে? কিন্তু অনেক সময় কিছু তর্ক বা ঝগড়া কিন্তু সম্পর্কের ভাঙনের কারণ হতে পারে৷ তাই আপনি যদি ব্রেক আপ না চান তবে কয়েকটা জিনিষ আপনাকে মাথায় রাখতে হবে৷ তবে নিজের সম্পর্ককে আপনি নিজেই বাঁচিয়ে নিতে পারবেন৷

Advertisements

সঙ্গীকে বদল করার চেষ্টা করবেন না: প্রথম যেদিন আপনার সঙ্গীকে দেখে আপনার ভাল লেগেছিল তাকে সেভাবেই থাকতে দিন৷ তাকে বদলানোর চেষ্টা করবেন না৷ অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কখনও পালটে যেতে বলবেন না৷ এতে আপনার সঙ্গী নিজের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগতে পারে৷ আবার অনেক সময় হয়ত এমনও হতে পারে যাতে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে তিনি নিজেকে পাল্টে নিলেন আর তখন তার জীবনে আর আপনার জন্য কোন জায়গাই থাকল না৷ কাউকে ভালবাসলে তাকে তার মতো করেই ভালবাসুন৷

সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন: সঙ্গীর সবকথা যে আপনার ভাল লাগবে তা একেবারেই নয়৷ কিন্তু তাই বলে সঙ্গীর কথা একেবারেই এড়িয়ে যাবেন তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়৷ সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন৷ এতে তার মনের যাবতীয় অনুভূতি অবং তিনি কি ধরনের মানুষ তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন আপনি৷ এর ফলে আপনাদের সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত হবে৷

What are the 10 ways to prevent relationship breakdown?

দুজনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি যেন না আসে: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটা সম্পর্ক কেবল মাত্র তৃতীয় কোন ব্যক্তির কারণেই ভেঙে যায়৷ তাই চেষ্টা করুন আপনাদের দুজনের সমস্যা দুজনের মধ্যেই রাখতে আর দুজনে মিলেই তার সমাধান করতে৷ এতে সম্পর্কের গোপনীয়তা বজায় থাকে৷ সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি আসা মানেই আপনাদের সম্পর্কর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সে জেনে যাবে এতে আপনাদের দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে৷

দুজনের পরিবারই সমান গুরুত্বপূর্ণ: নিজের পরিবারকে গুরুত্ব সকেলই দেন৷ কিন্তু একই সঙ্গে সঙ্গীর পারিবারিক দিকটাকেও কিন্তু আপনাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে৷ সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত না হলেও খেয়াল রাখুন যাতে আপনার জন্য আপনার সঙ্গীর পারিবারিক জীবনে কোন সমস্যা না হয়৷

ঝগড়া পুষে রাখবেন না: সম্পর্কে প্রেম থাকলে সেখানে ঝগড়া থাকবেই৷ কিন্তু তাই বলে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করেই যাবেন তা হলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকানো যায় না৷ একটু আধটু ঝগড়া সম্পর্কে আরও গাঢ় করে তোলে কিন্তু সেই ঝগড়া অনবরত করতে থাকা বা রাগ পুষে রেখে কথা না বলা, দেখা না করা ইত্যাদির ফলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে বাধ্য৷

Advertisements

সঙ্গীকে তার মতো করে সময় কাটাতে দিন: আপনি তার সঙ্গে প্রেম করছেন বলে তার সমস্ত সময় শুধু আপনার জন্যই এই ভাবনা একেবারেই ভুল৷ প্রেমের বাইরে আপানর যেমন একটা বন্ধুর জগত আছে তেমনই তারই বন্ধু রয়েছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে৷ তাই একে অপরকে স্পেস দিন৷ নিজের নিজের বন্ধুর সঙ্গেও সময় কাটান৷ সব সময় একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকলে সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে পারে৷

সঙ্গীর মেয়ে বা ছেলে বন্ধু নিয়ে অযথা প্রশ্ন নয়: আপনার সঙ্গীর ছেলে বা মেয়ে বন্ধু থাকতেই পারে৷ তাই বলে প্রেমিকের মেয়ে বন্ধু রয়েছে বলে অযথা সন্দেহ বা প্রতিক্রিয়া একেবারেই দেখাবেন না৷ নিজের মনে বিশ্বাস রাখুন আপনার সঙ্গী কেবল আপনারই৷ অন্য কেউ তার বন্ধু হওয়া মানেই তিনি আপনার থেকে দূরে সড়ে যাবেন তা একেবারেই নয়৷

অতীত নিয়ে অযথা প্রশ্ন করবেন না: প্রত্যেক মানুষের জীবনেই অতীত থাকতে পারে৷ এমন হতে পারে আপনার আগে হয়ত আপনার সঙ্গীর জীবনে অন্য কেউ ছিল কিন্তু তাই বলে সে নিয়ে তাকে অযথা প্রশ্ন করবেন না৷ এমনকি ঝগড়া হলেও প্রথম প্রেমের কথা টেনে আনবেন না৷ এতে আপনার সঙ্গী বিরক্তও যেমন হবেন তেমনই মনে মনে সে আপনার প্রতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন৷

সম্পর্কে স্পেস দিন: সকলেই নিজের সঙ্গীকে জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন৷ সেটা করা ভাল৷ কিন্তু তাই বলে সঙ্গী যদি অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর আপনাকে সময় দিতে না পারেন তবে সে নিয়ে অযথা ঝগড়া করবেন না৷

অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত জিনিস ধরবেন না: সঙ্গী হযত আপনার থেকে কিছু লুকিয়ে রাখেন না কিন্তু তাই বলে অনুমতি না নিয়ে তার ব্যক্তিগত কোন জিনিষ ধরবেন না৷ প্রত্যেকেরই নিজস্ব জগত আছে এবং গোপনীয়তাও রয়েছে৷ তাই অনুমতি নিয়ে তার জীনীষগুলি ধরুন একে অপরের প্রতি সম্মান বাড়বে৷