আগেরবার মরসুমটা ভালো যায়নি রাজস্থান ইউনাইটেডের (Rajasthan United FC)। প্রথমেই পরাজিত হতে হয়েছিল রিয়াল কাশ্মীরের কাছে। সেই হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী নামধারী এফসির বিপক্ষে দল ঘুরে দাঁড়ালেও বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকতে খুব একটা সময় লাগেনি। পরবর্তীতে ফের আটকে যেতে হয় একের পর এক দুইটি ম্যাচে। এক্ষেত্রে পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছিল শ্রীনিধি ডেকানের পাশাপাশি শিলং লাজং এফসির মতো দলের কাছে। সময়ের সাথে সাথে নিজেদের পুরনো ছন্দে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে মাঝে ডেম্পোকে আটকে দিয়েছিল জয়পুরের এই দল।
কিন্তু আইজল ম্যাচে ফের দেখা দিয়েছিল তথৈবচ পরিস্থিতি। মাঝে শক্তিশালী রিয়াল কাশ্মীর দলকে আটকে দেশের এই দ্বিতীয় ডিভিশন লিগের প্রথম তিনে উঠে আসার লড়াইয়ে নিজেদের পথ প্রশস্ত করার ভাবনা থাকলেও সেই আশা কার্যত নিরাশায় পরিনত করে দিয়েছিল চার্চিল ব্রাদার্স। তারপর গোকুলাম ম্যাচ। সেখানে ও পিছু নিয়েছিল সেই হতশ্রী পারফরম্যান্স। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলি তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল রাজস্থানের (Rajasthan United FC) এই ফুটবল দল। যারফলে লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে শেষ করে এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু সেইসব এখন অতীত। দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভুলে এই সিজনে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য সকলের কাছে।
সেইমত বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল রাজস্থান ইউনাইটেড (Rajasthan United FC)। এক্ষেত্রে মূলত দলের তরুণ ফুটবলারদের দিকেই বাড়তি নজর ছিল সকলে। যার মধ্যে এবার বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল ভিনিল পূজারির কথা। পূর্বে চার্চিল ব্রাদার্স থেকে শুরু করে স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু সহ দিল্লি এফসির হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের এই ফুটবলারকে। এবার তাঁর উপর ভরসা রেখেছে রাজস্থান ইউনাইটেড (Rajasthan United FC)। দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান ইউনাইটেড (Rajasthan United FC) এফসির সাথে নতুন যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি গর্বিত।’
আরও বলেন, ‘প্রতিটি নতুন চ্যালেঞ্জ নতুন সুযোগ নিয়ে আসে এবং আমি এই ক্লাব, এর সমর্থক এবং এর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আমার সর্বস্ব উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। আমার উপয আস্থা রাখার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, এবং গর্বের সাথে এই দলের জার্সি পরার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’


