UP Election 2022: প্রথা ভেঙে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে লড়াই করার কথা ঘোষণা অখিলেশের

যোগী আদিত্যনাথের (adityanath) পর এবার মত বদল করলেন সমাজবাদী পার্টির (samajbadi party) নেতা অখিলেশ যাদব (akhilesh yadav)। বুধবার সপা নেতা জানিয়ে দিলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে…

Akhilesh Yadav

যোগী আদিত্যনাথের (adityanath) পর এবার মত বদল করলেন সমাজবাদী পার্টির (samajbadi party) নেতা অখিলেশ যাদব (akhilesh yadav)। বুধবার সপা নেতা জানিয়ে দিলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (assembly election) তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অখিলেশের এদিনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে এক নতুন ট্রেন্ডের সূচনা হল বলা যায়। কারণ ২০০৪ সালে শেষবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির তৎকালীন প্রধান তথা দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুলায়ম সিং যাদব।

২০০৪ সালের পর থেকে কোনও দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আর সরাসরি নির্বাচনে লড়েননি। কারণ তাঁরা দলের হয়ে গোটা রাজ্যে প্রচার করাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, নিজে কোনও কেন্দ্রে ভোটের লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তাঁকে ওই কেন্দ্রেই আটকে পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষে গোটা রাজ্যে প্রচার চালানো সম্ভব হবে না। সে কারণেই ২০০৪ সালের পর থেকে কোন রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।

২০০৪- এর ভোটে প্রথম ও শেষবার লড়েছিলেন মুলায়ম। মায়াবতীকে কখনওই বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে দেখা যায়নি। ২০১২ সালে অখিলেশ যাদব প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সে সময় তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েননি। ২০১২ সালে তিনি ছিলেন কনৌজের সাংসদ। সাংসদ পদ ইস্তফা দিয়ে তিনি উত্তরপ্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হলেও যোগী আদিত্যনাথ বিধায়ক ছিলেন না। সে সময় তিনি ছিলেন গোরক্ষপুরের সাংসদ। তাই স্বাভাবিকভাবেই যোগী বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এতদিনে সেই ট্রেন্ড এবার প্রথম ভাঙেন যোগী। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগী গোরক্ষপুর সদর আসন থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যোগীর এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়েন অখিলেশ। তাই প্রথমদিকে ভোটে লড়বেন না বলে জানালেও শেষ মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে রাজি হয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, সপার দুর্গ বলে পরিচিত কনৌজের কোনও আসন থেকে লড়াই করতে পারেন অখিলেশ।
আবার লখনউয়ের মত কোনও হাইপ্রোফাইল আসন থেকেও তাঁর লড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর প্রয়োজনে দুটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন তিনি। বুধবার উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে দলের সদর দফতরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির শেষ মুহূর্তের বৈঠক চলছে। ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী দিল্লিতেই আছেন। একের পর এক দলিত নেতার দলত্যাগের ঘটনায় বিজেপি কিছুটা কোণঠাসা। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গেরুয়া দল কী কৌশল নয় সেটাই এখন দেখার।