Global Recession: রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ‘ভয়াবহ’ মন্দা এড়ানো সম্ভব: রাষ্ট্রসংঘ

হাতে মাত্র দুমাস সময়। এর মধ্যেই যা করার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা (Global Recession) আসছে। ইতিমধ্যেই তার লক্ষ্ণণ স্পষ্ট। কারণ, বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্যে…

হাতে মাত্র দুমাস সময়। এর মধ্যেই যা করার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা (Global Recession) আসছে। ইতিমধ্যেই তার লক্ষ্ণণ স্পষ্ট। কারণ, বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্যে ভয়াবহ পতন। এমন পরিস্থিতিতে মন্দা এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বলা হয়েছে বিভিন্ন দেশে সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলগুলির সদিচ্ছা থাকলেই তবে মন্দা এড়ানো সম্ভব।

রাষ্ট্রসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি) জানাচ্ছে, যদি আর্থিক ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি দ্রুত পরিবর্তন না করা হয় তবে বিশ্ব মন্দা ধেয়ে আসবে। এই মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

  • হাতে মাত্র দু মাস সময়।
  • আরও বিপুল মুদ্রা মুল্য পতনের ইঙ্গিত।
  • ভারতে টাকার দামে সর্বাধিক পতন।
  • আর্থিক মন্দার ঢেউ করোনার থেকে ভয়াবহ হবে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।

বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন:

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার আগেই বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার সতর্কতা জারি করেছে। এবার ইউএনসিটিএডি প্রধান রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, মন্দা এড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার এখনও সময় আছে। মন্দা এড়ানোর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নীতিগত ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ব্যাপার।

ইউএনসিটিএডি সতর্ক করেছে কোনও দেশের সরকারের ভুলেই আসতে পারে সে দেশে বড় বিপর্যয়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা মন্দার চেয়েও এই মন্দা হতে পারে ভয়াবহ।

ইউএনসিটিএডি জানাচ্ছে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট ও ২০২০ সালে করোনা সংকটের থেকে এবার আর্থিক মন্দা আরও কঠিন পরিস্থিতি আনবে। সব অঞ্চল প্রভাবিত হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মন্দা হবে বেশি। বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে অনাদায়ী ঋণ তালিকায় আছে।

দক্ষিণ এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ায় ঋণ সংকট বাড়ছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেউলিয়া। আফগানিস্তান, তুরস্ক ও পাকিস্তান সংকটের সম্মুখীন। পাকিস্তানে দ্রুত বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় কমছে।

আন্তর্জাতিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের দামের তুলনায়
উন্নয়নশীল দেশগুলির টাকার মান ক্রমাগত কমছে। সেটি আর্থিক মন্দার ভয়াবহ ইঙ্গিত। উন্নত অর্থনীতিতে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে প্রায় ৯০টি উন্নয়নশীল দেশের মুদ্রা এবছর ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহামারির আগের পাঁচ বছরের তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধির হার নিচে থাকবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।