শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী (Rohingya refugees) বাংলাদেশের শিবির থেকে পালিয়ে আন্দামান সাগরে(Andaman Sea) একটি নৌকার মধ্যে ধুঁকছে। তাদের গলা বুক জলের অভাবে শুকিয়ে আসছে। তৃষ্ণায় বুক শুকিয়ে মৃত্যুর মুখে কমপক্ষে ১৫০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের জন্য ভারত সহ উপকূলবর্তী সবকটি দেশের কাছে সাহায্য চাইল (UN) রাষ্ট্রসংঘ।
বিবিসির খবর, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে সমুদ্রে খাবার-পানীয় জল ছাড়া একটি নৌকায় ভাসছে প্রায় ১৫০ রোহিঙ্গা। দু’সপ্তাহ আগে এই নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে সেটি স্রোতের টানে ভেসে চলেছে।
নৌকার ছবি উপগ্রহ মারফত এসেছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই নৌকায় নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের খাওয়ার জল নেই। শিশু সহ নৌকার কয়েকজন রোহিঙ্গা যাত্রী মারা গেছেন।
রাষ্ট্রসংঘের থেকে আন্দামান সাগরের চারপাশে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওই নৌকায় সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই অনুরোধে কোনো দেশ সাড়া দেয়নি।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গারা। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বর্মী সেনাবাহিনীর অভিযান চলে। গণহত্যার ঘটনাও ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের জন্য চট্টগ্রামে শরণার্থী শিবির চলছে। তবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার হামলা ও অপরাধ সংক্রান্তি কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাদের নিয়ে চলছে মানব পাচার ব্যবসা। বাংলাদেশ সরকারের বারবার আহ্বানেও মায়ানমারে সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চায়না।
এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের খবর, ওই নৌকাটি গত মাসে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছিল। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেটি ভাসনে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রওনা হওয়ার কয়েকদিন পরই সেটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তারপর থেকে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসছে। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভারতীয় জলসীমায় কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।