ইউক্রেনের গবেষণাগারে থাকা বিপজ্জনক জীবাণু যে কোনও মুহূর্তে ছড়িয়ে যেতে পারে। যদি কোনওভাবে সেই গবেষণাগারগুলি রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন আশঙ্কা থেকে যে সব জীবাণু ও অনুজীব মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে সেগুলোকে ধ্বংস করতে পরামর্শ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনেও জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাস সহ মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের বিপজ্জনক রোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এঅ গবেষণাগারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও হু এর কাছ থেকে বিভিন্ন সাহায্য পেয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই গবেষণাগার হয়েছে বিতর্কের কেন্দ্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আর রাশিয়া বলছে ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনার জন্য উন্নয়ন গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রত্যক্ষ মদত করেছে, তাদের উদ্বেগ থেকেই স্পষ্ট।
গত ৩ মার্চ রুশ সেনার হামলায় ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রুশ বাহিনী দখলেও নেয়। তার আগে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক ক্ষেত্র দখলে নেয় রুশ বাহিনী। রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা IAEA বৃহস্পতিবার বলেছে, চেরনোবিলের তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থা আর ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের হাতে নেই।
১৯৮৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াল পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল চেরনোবিলে। তখন ইউক্রেন ও রাশিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গ।