Ukraine War: বেলারুশ নয় অন্যত্র রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন

যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া। পাশাপাশি ইউক্রেনও চায় আলোচনায় বসতে। কিন্তু কোথায় বসে এই আলোচনা হবে তা নিয়েই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া…

যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া। পাশাপাশি ইউক্রেনও চায় আলোচনায় বসতে। কিন্তু কোথায় বসে এই আলোচনা হবে তা নিয়েই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা বেলারুশে বসে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে চায়। কিন্তু ইউক্রেন আবার বেলারুশে গিয়ে কোনও রকম আলোচনায় বসতে নারাজ। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, শেষপর্যন্ত আলোচনাস্থলকে কেন্দ্র করেই দুদেশের মধ্যে আলোচনার এই প্রস্তাব ভেস্তে যেতে পারে।

এর আগে ইউক্রেনের তরফ থেকে রাশিয়াকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এবার মস্কোর তরফ থেকেই ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর দু’টো নাগাদ রাশিয়া ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব জানায়। মস্কো স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশ বেলারুশে জেলেনস্কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়। রাশিয়ার ওই প্রস্তাব পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব দেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি জানিয়ে দেন, ইউক্রেন আলোচনায় বসতে রাজি আছে। তবে তাদের একটি শর্ত আছে। রাশিয়া সেই শর্তের কথা জানতে চাইলে জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, তাঁরা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন। কিন্তু বেলারুশে তাঁরা যাবেন না।

বেলারুশে যেতে কেন আপত্তি জেলেনস্কি তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বেলারুশের মধ্য দিয়েই রুশ সেনা ইউক্রেন অনুপ্রবেশ করেছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে রাশিয়াকে সব ধরনের সাহায্য করেছে এই দেশ। তাই বেলারুশে তিনি কখনওই আলোচনায় বসবেন না। বেলারুশের নাম উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি আলোচনায় বসার জন্য পাঁচটি বিকল্প জায়গার নাম জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, বুদাপেস্ট, বাকু, ইস্তানবুল ব্রাতিস্লাভা, ওয়ারশের মত যে কোনও জায়গায় তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছেন।

জেলেনস্কির এই পাল্টা প্রস্তাবের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার কাছ থেকে মেলেনি। পুতিন যখন যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব যখন দিচ্ছেন সে সময়ও রুশ সেনা ইউক্রেনে একইরকমভাবে হামলা চালাচ্ছে।