সরাসরি নয় ভায়া ভারত হয়ে রাশিয়ার জ্বালানি তেল কিনছে ইউরোপ ও আমেরিকা। আবার ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine War) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সহ হুঙ্কারও ছাড়ছে তারা। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি এমন খেলা বন্ধ হোক দ্রুত।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার জানাচ্ছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর প্রথম ১০০ দিন পেরিয়ে পুতিনের তেল কূটনীতি এতই সফল যে চমকে গেছে পুরো দুনিয়া। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সঙ্গে এদিকে ভারতের তেল বাণিজ্য দেখে উদ্বিগ্ন হফ্রান্স, চিন, সংযুক্ত আরব আরব আমিরশাহি ও সৌদি আরব। এই সবকটি দেশ রুশ জ্বালানির আমদানি বাড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধ জারি করে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানিতে কাটছাঁট করার কথা ঘোষণা করা হয়। আর পরিসংখ্যান বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর জ্বালানি বিক্রি করে রাশিয়া গত ৩ জুন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। এই রোজগারের ৬১ শতাংশ এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমান অপরিশোধিত তেল ভারতে পাঠিয়ে পরিশোধন করা হচ্ছে। সেই তেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে আরও একটি তথ্য, রাশিয়ার তরফে ভারতে অপরিশোধিত তেল রফতানি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে ১৮ গুণ বেড়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার জানাচ্ছে, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তারা তেল রফতানির নতুন বাজার খুঁজছে। রুশ তেল যে সব জাহাজে রফতানি হচ্ছে সেই জাহাজগুলোর বেশিরভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি।