UK: মদ গিলে ফুর্তির জের, আস্থা ভোটের আগেই ব্রিটেন জুড়ে বরিস ভাগাও স্লোগান

লকডাউনে মদের পার্টি দিয়ে বিপত্তি, ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী জনসন দেশের পার্লামেন্টে অনাস্থার মুখোমুখি। তিনি আস্থাভোটের জন্য নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদের কাছে আপিল করেছেন। এদিকে…

লকডাউনে মদের পার্টি দিয়ে বিপত্তি, ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী জনসন দেশের পার্লামেন্টে অনাস্থার মুখোমুখি। তিনি আস্থাভোটের জন্য নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদের কাছে আপিল করেছেন। এদিকে ভোট শুরুর আগেই ব্রিটেন জুড়ে স্লোগান উঠেছে বিদেয় করো বরিসকে।

কী হবে? আস্থা ভোটে হারলেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হবে। এমনই আশঙ্কা নিয়ে সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে অনাস্থার মুখোমুখি। করোনা মহামারিতে লকডাউন বিধি ভেঙে মদের পার্টি আয়োজন করেছিলেন জনসন। সেই সংবাদ প্রকাশ হতেই তীব্র বিতর্কে জড়ান। সেই পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরেই দলের ভেতর নেতৃত্ব নিয়ে অনাস্থার ‍মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কনজারভেটিভ দল তাদের এমপিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী লেবার পার্টিও সরব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

বিবিসি জানাচ্ছে,নিয়ম অনুযায়ী, ন্যূনতম ১৫ শতাংশ পার্লামেন্ট সদস্যকে আস্থা ভোট চাইতে হবে। এক্ষেত্রে আস্থা ভোট চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ (৫৪ জন) পেরিয়ে গেছে। চাপের মুখে জনসন বারবার ক্ষমা চান। তবে তাঁকে আস্থা ভোটের মু়খোমুখি হতেই হবে। জনসন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমনই বিবৃতিতে বলেছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট।

গোপন ব্যালটে দলীয় সাংসদদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলেই টিকে যাবেন জনসন। সে ক্ষেত্রে আগামী এক বছর তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় সাংসদরা নতুন কোনও অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবে না। হেরে গেলে, দলীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে তাঁকে।