UK: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো…’ শ্রষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রয়াত

প্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক ও সাংবাদিক তথা অমর একুশ গানের লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। (UK) লন্ডনের একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তিনি প্রয়াত হলেন।তার বড় মেয়ে…

Abdul Gaffar Chowdhury

প্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক ও সাংবাদিক তথা অমর একুশ গানের লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। (UK) লন্ডনের একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তিনি প্রয়াত হলেন।তার বড় মেয়ে তনিমা চৌধুরী সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গাফ্‌ফার চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

‘‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…” এই কবিতা গাফফার চৌধুরী লিখেছিলেন ১৯৫২ সালে৷

পূর্ব পাকিস্তানে  তখন ভাষা আন্দোলন চলছে, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাস্তায় তখন আপামর জনতা৷ ২১শে ফেব্রুয়ারি গুলি চলে সেই আন্দোলনে৷ প্রাণ হারান রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতরা৷ সেইদিনের সাক্ষী গাফফার চৌধুরী৷

কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-এর রচয়িতা আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘গাফ্‌ফার চৌধুরী তার মেধা-কর্ম ও লেখনিতে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন ও বাঙালির অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।’

১৯৩৪ সালে বরিশালে জন্ম গাফ্‌ফার চৌধুরীর। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তার আগে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক। ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত দিনটির তিনি একজন অন্যতম সাক্ষী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ  সরকারের মুখপত্র ‘জয়বাংলা’য় কাজ করেন গাফ্‌ফার চৌধুরী।কলকাতায় ছিলেন সেই সময়। ১৯৭৪ সালে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান তিনি। এরপর সেখানেই স্থায়ী হন।

১৯৫০-এর দশকে সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পেশাগত কাজে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, ইউনেস্কো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার।