Travel: এবার পুজোয় যান ভারতের একচিলতে আফ্রিকায়

আগে মানুষের গায়ের রঙের উপর ভিত্তি করেই বিচার করা হত যোগ্যতা। সেই বর্বরতা এখনও পুরোপুরিভাবে মুছে যায়নি। সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে দাস হিসাবে ভারতে আনা…

travel-now-go-to-africa-in-india

আগে মানুষের গায়ের রঙের উপর ভিত্তি করেই বিচার করা হত যোগ্যতা। সেই বর্বরতা এখনও পুরোপুরিভাবে মুছে যায়নি। সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে দাস হিসাবে ভারতে আনা হয়েছিল বেশ কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মানুষকে। তবে কারা এনেছিল তাদের সে নিয়ে দ্বিমত বর্তমান। কারও মতে পর্তুগিজরা আফ্রিকা থেকে তাদের এনেছিল, আবার কারও মতে বহু আগে থেকেই আরব থেকে আনা হয়েছিল। ক্রমে দাস প্রথার অবসান হলে এই কৃষ্ণাঙ্গ মানুষগুলো জঙ্গলে গিয়ে বসবাস শুরু করে। জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের উদ্যোগেই পরবর্তীকালে এরা নিজস্ব বাসভূমি এবং নাগরিকত্ব লাভ করে। এরা পরিচিতি পায় সিদ্দি বা হাবশী সম্প্রদায় নামে।

সাধারণ জনজীবন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এই সম্প্রদায় গোয়া, কর্ণাটক, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেই বসবাস করে। মূলত জুনাগড়েই রয়েছে হাবশী সম্প্রদায়ের সিংহভাগ। তাদের সকলেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এই সম্প্রদায়ের মূল উপার্জনের উৎস হল পর্যটক। আফ্রিকান সংস্কৃতির টানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিশেষ নাচ দেখিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করেন। তবে কেউ কেউ আবার শহরে চাকরিও করেন, সেই সংখ্যা যদিও খুবই নগণ্য।

গুজরাটের জুনাগড়ে গেলে মনে হবে, ভারতের মধ্যে যেন এক চিলতে আফ্রিকা বিরাজ করেছে। আপনিও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। আফ্রিকান সংস্কৃতি, রীতি-রেওয়াজ, আদপ-কায়দার ছাপ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে সেখানে। দেশে থেকেই আফ্রিকান সংস্কৃতির আমেজ পেতে এর থেকে আর ভালো বিকল্প নেই।

কীভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে জুনাগড় রেলপথ ও আকাশপথ উভয়ভাবেই যাওয়া সম্ভব।

ট্রেনে যেতে হলেঃ হাওড়া থেকে ট্রেনে আমেদাবাদ স্টেশন। সেখান থেকে ট্রেন বদলে জুনাগড়।

বিমানেঃ কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সেখান থেকে বাসে চেপে জুনাগড়।

সিদ্দিদের সঙ্গে ক’দিন থেকে তাদের জীবন ধারাকে উপলব্ধি করা নিঃসন্দেহে একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। জুনাগড়েই পেয়ে যাবেন থাকার জন্য হোলেট। এছাড়াও ঘুরে দেখতে পারেন জুনাগড় দুর্গ। তাই দেরি না করে পুজোতেই বেড়িয়ে আসুন ভারতের এই ‘মিনি আফ্রিকা’ থেকে।