শরীর-মন ভালো রাখতে জলখাবারে নিয়মিত খান প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর-মন সুস্থ রাখতে প্রোটিন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চিকিৎসকদের মতেও, আমাদের দেহ-মনের সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন৷…

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর-মন সুস্থ রাখতে প্রোটিন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চিকিৎসকদের মতেও, আমাদের দেহ-মনের সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন৷ জেনে নিন, কিভাবে নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রোটিন খেলে তাশরীর এবং মন দুই’য়েরই যত্ন নেয়।

Advertisements

আরও পড়ুন পছন্দের খাবারেই দূর করুন মানসিক অবসাদ

বিজ্ঞাপন

১. ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

সকালের খাবারে বেশি প্রোটিন থাকা মানেই আপনার শরীরের ক্যালোরির চাহিদা কমবে। প্রোটিন যুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে। এর ফলে বারবার খিদে পাওয়া বা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। কমে যায় বাড়তি ক্যালোরি শরীরে জমার সম্ভাবনা। বিশেষ করে যাঁরা দিনের অধিকাংশ সময়ে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সামনে বসে কাজ করেন তাঁদের জন্য এটা খুবই কার্যকর। খাবারে বেশি প্রোটিন থাকলে সেটা ঘ্রেলিন নামক হরমোনকে আটকে দেয়। এই হরমোনের কারণে বারবার খিদে পায়।

২. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, নিয়ম মেনে ব্রেকফাস্ট করেও কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই ক্লান্তি বা অলস ভাব আসে। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ব্রেকফাস্টে সঠিক প্রোটিন নেই বরং ক্যালোরি মাত্রা বেশি রয়েছে। যেমন টোস্ট, বা বাজার চলতি সিরিয়ালস বা মুসলি খেলে এ-রকম মনে হতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ রিফাইন্ড সুগার থাকে। এর ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিন এই ভাবে চলতে থাকলে ডায়বিটিস হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং ফ্রি অ্যামিনো অ্যাসিডের স্তর বাড়িয়ে দেয়।

Vegetarian and vegan diet: five things for over-65s to consider when  switching to a plant-based diet

৩. ওজন বাড়তে দেয় না

অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে দিনের গুরুত্বপূর্ণ খাবার বা মিল স্কিপ করে যান। অনেকে আবার সময়ের অভাবে এই দিকে নজর দেন না। অন্যদিকে প্রোটিনযুক্ত খাবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকায় বারবার খিদে পায় না। পাশাপাশি মেটাবলিজম মাত্রা বাড়িয়ে দেয় প্রোটিন।

৪. ব্যায়ামের পর শরীর চাঙ্গা রাখে

প্রোটিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড। এই অ্যামিনো অ্যাসিড আমাদের শরীরের কোষগুলির স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। শরীরে মাংসপেশির শক্তি বাড়িয়ে হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রোটিন অপরিহার্য। ধৈর্য, শক্তি বৃদ্ধি করতেও প্রোটিন সহায়তা করে।

৫. ফিল গুড ফ্যাক্টরের মাত্রা বাড়ায়

<

p style=”text-align: justify;”>বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ মন খারাপ হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলছে গাট মাইক্রোবস। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে এই গাট মাইক্রোবস নামক ব্যাকটেরিয়া আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।