Tips: তরতর করে বাড়ছে দাম! রইল গ্যাস সেভিংসের স্পেশ্যাল টিপস

ইতিমধ্যেই গৃহস্থের কপালের ভাঁজ বাড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। সংসার খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান্নার গ্যাসের জন্য গুণতে হচ্ছে বেশ মোটা টাকা। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম…

tips-for-LPG savings

ইতিমধ্যেই গৃহস্থের কপালের ভাঁজ বাড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। সংসার খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান্নার গ্যাসের জন্য গুণতে হচ্ছে বেশ মোটা টাকা। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অনেকেরই চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে গ্যাস সাশ্রয় করে রান্না করাই হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জ। বুদ্ধি খাটিয়ে সিলিন্ডার খরচ করলে রান্নার গ্যাস বাঁচাতে পারেন অনেকটাই। রইল তারই কিছু টিপস।

  • রান্না শুরু করার আগে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক জায়গায় করে নিন। এর ফলে আপনার সময় এবং গ্যাস দুই-ই বাঁচবে।
  • ফ্রিজে রাখা দুধ গরম করার প্রায় ১-২ ঘণ্টা আগে বাইরে বের করে রেখে নিন। নরমাল টেম্পারেচারে এলে গরম করুন। ফ্রিজে রাখা সবজি, ফ্রোজেন ফুডও রান্না করার আধ ঘণ্টা আগে বের করে রাখুন। রুম টেম্পারেচারে এলে রান্না করুন,এতে গ্যাস সাশ্রয় হবে।
  • কড়াইয়ে ঢাকা না-দিয়ে রান্না করলে গ্যাস তিনগুণ বেশি ব্যয় হয়। তাই খাবার ঢেকে রান্না করুন।
    কড়াই বা প্যানে রান্না করার পরিবর্তে প্রেশার কুকারে রান্না করুন। কারণ কুকারে তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় এবং গ্যাস খরচ কম হয়।
  • রান্নার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী জল ঢেলে দিন। এতে জল পোড়ানোর জন্য গ্যাস খরচ কম হয়। বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে শাক-সবজির পুষ্টিকর উপাদানগুলিও নষ্ট হয়ে যায়।
  • সবজি, ডাল ও মাংস সেদ্ধ করতে প্রচুর গ্যাস খরচ হয়।তাই মাংসকে মাইক্রোওয়েভে অল্প রান্না করুন। গ্যাসের তুলনায় মাইক্রোওয়েভে তাড়াতাড়ি মাংস রান্না হয়।
  • রান্নার জন্য সঠিক সাইজের প্যান বা কড়াই ব্যবহার করা উচিত। ছোট সাইজের প্যান বা কড়াইয়ে রান্নার ফলে আঁচ বাইরে বেরিয়ে যায়। আবার বড় প্যান ব্যবহার করলে, তা গরম হতে সময় লাগে।
  • মাছ, মাংস বা সবজি গ্রিল করার জন্য গ্যাস ব্যবহার করলেও গ্যাস অনেক খরচ হতে পারে। তাই কোনও খাবার গ্রিল করার জন্য টোস্টার বা ওভেন ব্যবহার করুন।
  • মাঝারি আঁচে রান্না করলে খাবার পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। আবার খুব অল্প আঁচে রান্না করলে বেশি গ্যাস ব্যয় হয়।
  • এছাড়া বার বার জল গরম করলে বা চা বানালেও গ্যাস বেশি খরচ হয়। তাই একবারেই বেশি করে জল গরম করে ফ্লাস্কে ভরে রেখে দিন।
  • বার্নার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বার্নার থেকে হলুদ শিখা বেরোলে বুঝতে হবে যে, তা পরিষ্কার করার সময় এসে গিয়েছে।
  • নির্দিষ্ট সময় অন্তর রেগুলেটার, পাইপ ও বার্নার চেক করবেন। এছাড়া লক্ষ্য রাখুন গ্যাস লিক হচ্ছে কী না।
    গ্যাস লিকের গন্ধ পেলে শীঘ্রই মেরামত করিয়ে নিন। দুর্ঘটনা আটকানোর জন্য এবং অপচয় রোধ করার জন্য রেগুলেটর অফ করে দিন। এছাড়া নিয়মিত গ্যাসের সার্ভিসিং করান।