যুগে যুগে বদলেছে প্রোপোজ় ডে’র রূপ

নারীর মন জয় করার জন্যে পুরুষেরা যে কী করতে পারে আর কী করতে পারে না, তাই নিয়ে গবেষণাপত্র তো আর কম লেখা হল না! তাতে…

propose-day india

নারীর মন জয় করার জন্যে পুরুষেরা যে কী করতে পারে আর কী করতে পারে না, তাই নিয়ে গবেষণাপত্র তো আর কম লেখা হল না! তাতে যে সব তথ্য উঠে আসে, তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো! আজ প্রোপোজ ডে-তে একবার সেই ইতিহাস ফিরে দেখলে কেমন হয়?

Advertisements

আদিম যুগ – নৃতাত্ত্বিকরা বলে থাকেন যে একেবারে আদিম যুগে, যখন গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনযাপনের অভ্যাস সবে শুরু হচ্ছে, সেই সময়ে পুরুষদের প্রোপোজ করার ধরনটা ছিল বেশ নৃশংস! প্রথমে মুখ ফুটে মনের কথাটা বলা হত। নারী রাজি থাকলে ভালো, না থাকলে অস্ত্রের আঘাতে তাকে কুপোকাত করে বিয়ে করা হত। অনেকের মতে, সেই অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফেটে কপাল বেয়ে যে রক্ত গড়িয়ে আসত, সেটাই না কি কালের ধারায় ভারতে সিঁদুর পরার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

   

রোমান যুগ – রোমের দিকে তাকালেও একটা প্রায় বর্বরোচিত উচ্ছ্বাস এবং উৎসবের ছবি চোখের সামে ধরা দিচ্ছে। ঐতিহাসিকরা বলছেন যে সেই সময়ে ভ্যালেন্টাইন উইক শুরু হত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, চলত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রাচীন রোমে এই সময়ে দেবতা লুপারকেলিয়ার উৎসব চলত। সেখানে প্রথমে দেবতার সামনে বলি দেওয়া হত একটা ছাল আর একটা কুকুর। তার পর মৃত পশুর ছাল ছাড়িয়ে, সেই চামড়া দিয়ে আঘাত করা হত কুমারীদের শরীরে। মেয়েরা না কি সেই সময়ে সারি বেঁধে দাঁড়াতেন সেই রক্তাক্ত ছালের আঘাত শরীরে নেওয়ার জন্য! লোকবিশ্বাস ছিল- এই ভাবে দেবতার আশীর্বাদে তাঁদের প্রজননশক্তি বাড়বে। এর পরের দিন শুরু হত লটারি। এটা বাক্সে কাগজের টুকরোয় লিখে রাখা হত এলাকার কুমারীদের নাম। একজন করে পুরুষ এগিয়ে এসে একটা কাগজ তুলে নিত বাক্স থেকে। এর পর যার নাম উঠেছে, সবার সামনে গিয়ে তাকে প্রোপোজ করত। সাধারণত ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা গড়াত বিয়ে পর্যন্ত। পঞ্চদশ শতকে পোপ জেলাসিয়াস এই লুপারকেলিয়া উৎসবের পরিবর্তে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন শুরু করেন।