TET SCAM: থাকতেন বাড়ির কাছে , তবুও মানিকের কার্যকলাপ অজানা সৌগতর

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির পাহাড় ক্রমেই চড়েছে। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট রাজনীতিবিদরা। সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এবার তা…

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির পাহাড় ক্রমেই চড়েছে। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক হেভিওয়েট রাজনীতিবিদরা। সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বাড়ির কাছেই থাকতেন মানিক ভট্টাচার্য, তবুও কার্যকলাপ অজানা সৌগত রায়ের। এই মুহূর্তে যখন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডলকেও সমন পাঠিয়েছে ইডি, এই সময় দমদমের তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য রাজনীতিতে জল্পনা উসকে দিয়েছে। 

প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডির নজরে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। গতকাল তাঁর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পর ২০ অক্টোবর তাপস মন্ডলকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ক্রমেই নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের। এদিকে বিরোধীপক্ষদের বক্তব্য সমালোচনাকে প্রতিহত করার ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।

এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি বার বার বলেছি, কাউকে ইডি বা সিবিআই ধরল মানেই তো তিনি দোষী প্রমাণিত নন। সেটির বিচার আদালতে হবে । তাই মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করে, সিবিআই-ইডি যা বলছে, সেটিই সত্য বলে মেনে নেওয়া উচিত নয়। আপনারা যদি সিবিআই বা ইডির চার্জশিট থেকে উল্লেখ করতেন তাহলেও হত। কিন্তু সিবিআই-ইডি খবর লিক করছে।”

অথচ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আগেই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। “প্রায় এক দশক ধরে সভাপতির আসনে বসে দুর্নীতির পাহাড় গড়েছেন মানিক” সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

একদিকে প্রতিদিন প্রায় ‌দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে, তবে সেই অভিযোগ প্রতিহত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সম্প্রতি একাধিক নেতাদের মন্তব্যতেও তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আগামী দিনে আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াতে পারে, এমনটা আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। এর ফলে একপ্রকার কোন ঠাসা হয়ে পড়ছে তৃণমূল এবং ভবিষ্যতেও শাসক দলকে আরও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ঘাসফুল শিবির।