তিন দশক আগে রাজ্য রাজনীতিতে ছিলেন একে অপরের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও জ্যোতি বসু (Jyoti Bose)৷ সময়ের সঙ্গে বদলেছে রাজনীতির অঙ্ক৷ মমতার একসময়ের সঙ্গী বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়াই করছে তাঁর দল৷ দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোটে মমতার সঙ্গী হয়েছে সিপি(আই)এম। তাই একযোগে দু’জনকেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy )।
ট্যুইট করে বিজেপি নেতা বলেন, “গুরু এবং শিষ্যা, দুজনেরই ক্যালি আছে স্বীকার করতেই হবে! যে বাঙালি হিন্দু জাতিতে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র জন্মেছেন সেই জাতিকেই একটা অর্ধশিক্ষিত, মতলববাজ, সমৃদ্ধিবিরোধী, চালচুলোহীন ভিখিরির জাতে পরিণত করার অমানুষিক প্রচেষ্টার তারিফ না করে থাকা যায় না !”
গুরু এবং শিষ্যা, দুজনেরই ক্যালি আছে স্বীকার করতেই হবে! যে বাঙালি হিন্দু জাতিতে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র জন্মেছেন সেই জাতিকেই একটা অর্ধশিক্ষিত, মতলববাজ, সমৃদ্ধিবিরোধী, চালচুলোহীন ভিখিরির জাতে পরিণত করার অমানুষিক প্রচেষ্টার তারিফ না করে থাকা যায় না ! pic.twitter.com/gv9X0ox8a6
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 19, 2022
আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাকি৷ ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের আগে সাজো সাজো রব সারা শহরজুড়ে। জেলা থেকে দলে দলে কর্মীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। প্রস্তুতি শেষলগ্নে বিজেপি নেতার আক্রমণের কারণ কি? এটা ঠিক যে এবার রাজ্য রাজনীতি থেকে বেরিয়ে জাতীয় রাজনীতির দিকে পা বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে তৃণমূলের সংগঠন। তাই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানাবেন এটা খুব স্বাভাবিক। তাই আগে থেকে দুই শিবিরকে আক্রমণের নিশানায় রাখছেন বিজেপি নেতারা৷
এর সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখা। জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রীকালেই ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনা। তারপর জন্মলগ্ন থেকে দিনটিকে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছে তৃণমূল৷ একসময়ের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী সিপি(আই)এমের সঙ্গেই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট বেঁধেছেন বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য। তাই এই ট্যুইট করে উভয় পক্ষকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা৷