সুভাষ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ তাপস চট্টোপাধ্যায়(Tapas Chatterjee) রাজারহাট এলাকার অন্যতম জনপ্রিয় নেতা বলেই পরিচিত। বামপন্থী আদর্শ নিয়ে রাজনৈতিক যাত্রাশুরু হলেও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে পদার্পণ। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। দুই বছর ধরে বিধায়ক থাকার পরেও বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। বিজয়া সম্মিলনীতে অন্য বিধায়করা ডাক পেয়েছেন, কিন্তু আমন্ত্রণ লিস্টে ব্রাত্য থাকার পর বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,”আমরা সারা দিন থেকে রাত অবধি কাজ করি। আমি এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি নিজেও আমন্ত্রিত ছিলাম না৷ গত বছরেও যখন আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী ছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কোনও সদর্থক উত্তর পাইনি। আমি নীতিগতভাবে সাম্প্রদায়িক বিরোধী। আমার কাজটাই হয়তো দশমীর দিনে সাত বছরের বাচ্ছার মৃতদেহ নিয়ে বার্নিং ঘাটে কাটানো৷”
তৃণমূল বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি হয়তো এই অনুষ্ঠানের যাওয়ার জন্য যোগ্য নন। এই ধরনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার তাঁর কোন স্ট্যাটাস নেই। নিজের বিধানসভাতেই অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রিত না থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যার জবাবে মিথ্যা বলে চোখ ঢাকতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর কথায়, দুই ধরনের স্ট্যাটাস থাকে একটা বাবু একটা চাকর। বিশেষ করে দিন নিজেকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাসের ব্যক্তি অর্থাৎ ‘চাকর’ বলেও সম্বোধন করেছেন।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও যেমন গতকালের অনুষ্ঠানে কী তাঁকে কারণে ডাকা হয়নি? বিধায়ক হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে দুই বার ডাকা হল না। সিস্টেমটা কী? এই বলেও দলের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। অনেকে উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাকে,তাহলে কি তিনি তাদের মধ্যে একজন নয়’ এই প্রশ্ন করে দলের দিকে আঙুল দেগেছেন তিনি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে না ডাকায় শুধু তাকে অপমান করা হয়নি,রাজারহাটের প্রত্যেক মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
বিজয়ের সম্মিলনীতে ডাক না পাওয়া, তাও একবার নয় পরপর দুবার যথেষ্ট অপমানজনক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সুযোগ নেই। আসলে আমরা ওনার বাড়ি অবধি যেতে পারব না। আমি ওনাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি৷ উনি আমাকে বিধায়ক করেছেন, আমি কাজের মধ্যে দিয়ে ওই জায়গাটাকে ধরে রেখেছি।”