তীব্র আর্থিক সংকটে গণবিক্ষোভে জ্বলতে থাকা শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি কার্যকরী প্রেসিডেন্ট থেকে এবার দেশটির সংসদ সদস্যদের ভোটে প্রেসিডেন্ট হলেন। (Sri Lanka Crisis)
চলতি মাসেই গণ বিক্ষোভের জেরে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তিনি মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর গিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন।তারপর থেকে শ্রীলঙ্কার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলংকার আর্থিক সংকটের কারণে প্রবল গণবিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের বাড়িতেও আগুন ধরান উত্তেজিত সিংহলিরা। তিনি নিরাপদ স্থানে সরে যান। তাঁর আগে বিক্ষোভে পুড়েছিল পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বাড়ি। তিনি পালিয়ে বাঁচেন। পরে বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী হন বিক্রমাসিংহে।
অভিযোগ, বিক্ষোভের মুখ থেকে রাজাপাকসে পরিবারকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হন বিক্রমাসিংহে। তিনিই প্রভাব খাটিয়ে মাহিন্দা ও গোতাবায়াকে নিরাপদে রেখেছিলেন।
রনিল বিক্রমাসিংহে ৬ বার বিভিন্ন সময়ে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন। এবার তিনি অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতিতে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট হলেন।
শ্রীলঙ্কার আইনসভাতে আসন সংখ্যা ২২৩ টি। ভোট পড়েছে ২১৯ টি। আর ১৩৪ টি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্ট পদের পদের দৌড়ে ছিলেন মার্কসাবাদী জেভিপি নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে এবং এসএলপিপির দুল্লাস আলহাপেরুমা।
বিবিসির খবর, রাজপাকসে পরিবারের ল এসএলপিপির সমর্থনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
এদিকে আর্থিক সংকটের মুখে বিদেশি সাহায্য না এলে দেশে শাটডাউন হবে এমনই সতর্কতা দিয়েছেন শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান। তিনি রয়টার্সকে জানান, দেশে একটি নিবন্ধিত সরকার থাকলে তবেই আন্তর্জাতিক আর্থিক সাহায্য আসবে।