দেশের নৌবাহিনী এখনও তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। তবে ভরসা নেই শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্রের খবর জলপথে অতি নিকটে থাকা ভারতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। তীব্র আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলংকা (Sri Lanka Crisis) জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। প্রেসিডেন্ট ভবন এখন বিদ্রোহী জনতার দখলে।
কলম্বোর সব সংবাদপত্রের ওয়েব সংস্করণের খবর, প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, নৌ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় কাতুনায়েকে নামে একটি বিমান ঘাঁটি থেকে দুবাই চলে যেতে পারেন তিনি। এদিকে রাজাপাকসের খোঁজ করছে বিদ্রোহী জনতা। তিনি জনতার মুখে পড়লে গণপ্রহারে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল।
গত শনিবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী শহক কলম্বোতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ চলছিল। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েন তারা। কোনওরকমে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের নিরাপত্তারক্ষীরা নৌ বাহিনীর একটি জাহাজে তাঁকে নিয়ে যায়।
এর আগে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গণবিক্ষোভের মুখে পালান দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শ্রীলংকার সুপ্রিম কোর্ট।
এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রবল ক্ষমতাধর রাজাপাকসে পরিবার। মাহিন্দা ও গোতাবাসা দুই ভাই। মাহিন্দা পদত্যাগ করতেই তাঁর জায়গায় বিরোধী পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসানো হয়েছিল রনিল বিক্রমাসিংহে কে। অনেকবার শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হওয়া বিক্রমাসিংহেও বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন। তাঁর একটি বাড়ি পুড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বিবিসির খবর, শ্রীলংকার জাতীয় সংসদের স্পিকারে জানান গোতাবায়ার পদত্যাগ পত্র আনুষ্ঠানিক গৃহীত হওয়ার পরই হবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
রয়টার্সের খবর, পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশত্যাগ করতে মরিয়া। তিনি শ্রীলংকার নৌ ও বিমান বাহিনীর কড়া ঘেরাটোপে দুবাই চলে যেতে পারেন।