ভারতে মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত Pakistan, দাবি সূত্রের

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক (Pakistan) সীমান্তে ফুলে ফেঁপে উঠেছে মাদক কারবারীদের ব্যবসা। সীমান্ত রক্ষীদের নাকের ডগা দিয়ে জোরকদমে চলছে মাদক পাচার চক্র। এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য…

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক (Pakistan) সীমান্তে ফুলে ফেঁপে উঠেছে মাদক কারবারীদের ব্যবসা। সীমান্ত রক্ষীদের নাকের ডগা দিয়ে জোরকদমে চলছে মাদক পাচার চক্র। এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল।

সূত্র মারফত খবর, পাকিস্তান এই মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। পাকিস্তানি রেঞ্জাররা সীমান্তে এ ধরনের অবৈধ গতিবিধির প্রতি সমর্থন করছে এবং সীমান্তে ভারতীয় রক্ষীদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছে। সূত্ররা আরও দাবি করেছে, গুরদাসপুরের সাম্প্রতিক ঘটনা যেখানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এক পাকিস্তানি পাচারকারীর কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৫৭.৮ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে, এটি একই রকম একটি ঘটনার উদাহরণ। সূত্রগুলি এখন পাকিস্তানি রেঞ্জারদের বিরুদ্ধে ভারতে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানকারী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছে, “চোরাচালানের প্রায় সব প্রচেষ্টাই পাকিস্তানি রেঞ্জারদের পোস্ট থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে ঘটেছে যার ফলে স্পষ্টতই পাকিস্তানি রেঞ্জারদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।” সূত্ররা আরও দাবি করেছে, ওই এলাকায় মানুষের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য পাক সামরিক বাহিনী পাঞ্জাব সীমান্তে থার্মাল ক্যামেরা বসিয়েছে।

তারা বলেছে, ‘জম্মু সীমান্তের মতো পাকিস্তানও পাঞ্জাব সীমান্তে হাই-রেজোলিউশন থার্মাল ক্যামেরা স্থাপন করেছে। রেঞ্জাররা সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য নিরাপদ রুট সরবরাহ করে পাচারকারীদের সহায়তা করে।” পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সহায়তায় চোরাচালানকারীরাও পাল্টা গুলি চালায় এবং বিনিময়ের সময় গুলিতে এক জওয়ান আহত হন। তবে ওই জওয়ানের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এনকাউন্টারের পর বিএসএফ-এর সদস্যরা হেরোইনের ৪৭টি হলুদ প্লাস্টিকের ঢাকা প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে।