Beauty: বৃষ্টির মরসুমে ত্বকের কেয়ার

কি করে বুঝবেন আপনি কম্বিনেশন ত্বকের অধিকারী কি না। কম্বিনেশন ত্বক যাঁদের হয় তাঁদের T-Zone অর্থাৎ কপাল, নাক এবং চিবুক – এই অংশগুলি প্রচণ্ড তৈলাক্ত…

skin-care-during-the-rainy-season

কি করে বুঝবেন আপনি কম্বিনেশন ত্বকের অধিকারী কি না। কম্বিনেশন ত্বক যাঁদের হয় তাঁদের T-Zone অর্থাৎ কপাল, নাক এবং চিবুক – এই অংশগুলি প্রচণ্ড তৈলাক্ত হয় এবং মুখের বাকি অংশ শুষ্ক হয়। এরকম ত্বক হলে বর্ষায় কীভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে জেনে নিন-

কম্বিনেশন ত্বকের যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি প্রতিদিন ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং নিয়ম মেনে চলেন, তাহলেই হবে।

   

কম্বিনেশন ত্বক হলে মুখ পরিষ্কার করার জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার না করে কোনও মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তুলোয় করে সামান্য ক্লেনজার নিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

এবারে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে মুখ মোছা হয়ে গেলে আবার তুলোয় করে অ্যালকোহল-ফ্রি টোনার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। টোনিং করাটা কিন্তু খুব জরুরি কম্বিনেশন ত্বকের ক্ষেত্রে।

এরপর কোনও ভালো জেল-বেসড ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন মুখে।

বাইরে বেরনোর সময়েও কিন্তু জেল-বেসড সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

Advertisements

সপ্তাহে অন্তত একবার করে এক্সফোলিয়েটিং করা জরুরি, এতে ত্বকের মরাকোষ এবং ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয় এবং ত্বক শ্বাস নিতে পারে!

মেকআপ করার আগে মনে রাখুন এই জিনিসগুলি

তৈলাক্ত ত্বক এবং কম্বিনেশন ত্বকের ক্ষেত্রে মেকআপ করার সময়ে খুব একটা তফাৎ হয় না। যেহেতু মুখের T-Zone তৈলাক্ত থাকে কাজেই জেল-বেসড বা পাউডার-বেসড মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ভাল।

যে সব মেকআপ প্রোডাক্ট একটা ম্যাট-ফিনিশ লুক দেয়, সেরকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে দেখতে ভাল লাগবে।

ম্যাট ফিনিশ প্রোডাক্টের সঙ্গেই খেয়াল রাখবেন, বেস মেকআপের সরঞ্জাম অর্থাৎ ফাউন্ডেশন, কনসিলার ইত্যাদি এবং আই মেকআপের সরঞ্জাম অর্থাৎ কাজল বা আইলাইনার এবং মাস্কারা যেন ওয়াটারপ্রুফ হয়। তা না হলে বর্ষায় ভিজে যদি মেকআপ গলে পড়বে, আর ত্বকেরও বারোটা বাজবে।
সবশেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন যাতে বেশ কয়েকঘণ্টা আপনার মেকআপ ঠিক থাকে।