স্ত্রীর উপার্জনের ওপর নজরদারি, বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দিয়ে স্বামীকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এরই সঙ্গে দম্পতির মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদেরও অনুমোদন দিয়েছে। বিচারপতি অলোক আরাধে এবং জেএম খাজির ডিভিশন বেঞ্চের সাম্প্রতিক…

মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এরই সঙ্গে দম্পতির মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদেরও অনুমোদন দিয়েছে। বিচারপতি অলোক আরাধে এবং জেএম খাজির ডিভিশন বেঞ্চের সাম্প্রতিক রায়ে বলা হয়েছে যে স্ত্রীকে ‘কামধেনু গরু’র মতো আচরণ করা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। স্বামীকে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা প্রমাণ করতে মহিলা আদালতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত নথি আদালতের সামনে রাখেন।

১৯৯৯ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির
১৯৯৯ সালে বিবাদমান দম্পতি কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরুতে বিয়ে করেছিলেন। ২০০১ সালে, তিনি একটি সন্তানের জন্ম দেন। স্ত্রী ২০১৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, স্বামীর পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় বাড়িতে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। পরিবারের ঋণ মেটাতে দুবাইয়ে চাকরি নেন ওই নারী। স্বামীর নামে জমিও কেনেন তিনি।

তা সত্ত্বেও, তিনি নিজেকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে পারেননি, অন্যদিকে, স্বামী তার স্ত্রীর আয়ে জীবনযাপন শুরু করেছিলেন। স্ত্রী এমনকি ২০১২ সালে তার জন্য একটি সেলুন খুলেছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। কিন্তু তার ওপর অত্যাচার থামেনি। স্ত্রীর উপার্জন করা অর্থে জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর ওপর বাড়তে থাকে টাকার দাবি। সেই দাবিতে স্ত্রীর উপার্জন করা সব অর্থই স্বামী নিয়ে নিতে বলে অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। মামলার রায়ে বেঞ্চ বলেছে, “এটি প্রমাণ করে যে স্বামী আবেদনকারী স্ত্রীকে ‘কামধেনু গরু’র মতো আচরণ করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর কোনো মানসিক সম্পর্ক ছিল না। এ ধরনের মনোভাবকে মানসিক হয়রানি হিসেবে ধরা হয়। ২০২০ সালে, একটি পারিবারিক আদালত মহিলার আবেদন খারিজ করে এবং বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দিতে অস্বীকার করে। আবেদন মান্যতা পায় কর্ণাটক হাইকোর্টে।