Skin Ageing: মাত্র কয়েকদিনে কম করে ফেলুন ত্বকের বয়স

জন্মদিনের কেক কাটার সময় যতই সিঙ্গল ক্যান্ডেল ফুঁ দিয়ে নেভান না কেন, বয়সকে কিন্তু লুকনো সম্ভব নয়। একটি করে বছর এগোবে আর ত্বকে পড়তে থাকবে…

skin-ageing-treatment indian

জন্মদিনের কেক কাটার সময় যতই সিঙ্গল ক্যান্ডেল ফুঁ দিয়ে নেভান না কেন, বয়সকে কিন্তু লুকনো সম্ভব নয়। একটি করে বছর এগোবে আর ত্বকে পড়তে থাকবে বেশ কিছুটা করে বয়সের ছাপ। কি ভাবছেন এর থেকে বাঁচার কি কোনও উপায় আছে কিনা? আছে, অবশ্যই আছে। আসলে সঠিক সময়ে সচেতন হলে এবং নিয়মিত ত্বক পরিচর্যা করলে অনেকটাই পিছিয়ে দেওয়া যাবে ত্বকে বার্ধক্য আসা।

প্রথমেই বলি, আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে আমরা প্রত্যেকেই একদিন না একদিন বুড়িয়ে যাবই। তবে একটু কেয়ারিং হলে কিন্তু স্কিনের এজিং প্রসেস স্লো-ডাউন করা যায়।

সাধারণভাবে ত্বকে বলিরেখা বা রিঙ্কলস দেখা দিতে শুরু করার পর সবাই ভাবেন ‘এই তো স্কিন এজিং শুরু হয়েছে, এবার কিছু করা দরকার!’ আমাদের জেনে রাখা দরকার যে ত্বকে রিঙ্কলস আসে একেবারে শেষ পর্যায়ে। তার অনেক আগে থেকে স্কিনের ড্রাইনেস, ডালনেস অথবা পিগমেন্টেশন, ব্লেমিশেস আসতে শুরু করে দেয়, যেগুলি প্রত্যেকটিই এজিং প্রসেসের। অন্তর্গত। এগুলির কোনও একটি বা দুটি দেখা দেওয়ার আগে থেকে বা সঙ্গে সঙ্গেই যদি এজিং কন্ট্রোল ট্রিটমেন্ট শুরু করে দেওয়া যায়, তাহলে কিন্তু ত্বকে বলিরেখা পড়া অনেকটাই রুখে দেওয়া যায় বা পিছিয়ে দেওয়া যায়। আবার যাঁদের বলিরেখা ইতিমধ্যে পড়ে গিয়েছে,
তাদেরও পুরোপুরি হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের জন্যও রয়েছে অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট প্রডাক্ট এবং ক্লিনিক্যাল এজিং ট্রিটমেন্ট। এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলার আগে দেখা যাক

স্কিন এজিং কী? তার লক্ষণগুলি কী কী ? তার পর আসব কীভাবে স্কিন এজিং-এর মাোকাবিলা করা সম্ভব সে কথায়।

স্কিনে এজিং-এর লক্ষণ
ড্রাইনেস ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া স্কিনে কালো প্যাচ, স্পট দেখা দেওয়াত্বকের ইলাস্টিসিটি হ্রাস বা চামড়া ঝুলে যাওয়া ফাইন লাইনস ও রিঙ্কলস পড়া।

স্কিন এজিং রোধ করতে যা যা করবেন

  • সারাদিন ধরে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। পারলে
    জলে লেবুর রস অল্প করে মিশিয়ে নিতে পারেন। লেবুতে অ্যান্টি-এজিং ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে প্রচুর পরিমাণে, যা স্কিনকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল বানায়। তবে শুধু জল খেলে হবে না। শরীরের পাশাপাশি স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য স্কিন টাইপ অনুযায়ী স্কিন হাইড্রেটিং টনিক ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিন।
  • ডেলি বিউটি রুটিনে ক্লিনজিং, টোনিং অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
    বানিয়ে ফেলুন। তবে যে টোনার ব্যবহার করছ তা স্কিনের উপযুক্ত কিনা বা সেই প্রডাক্ট স্কিনের pH ব্যালান্স সঠিক রাখছে কিনা সেটি অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পর অবশ্যই নাইট ক্রিম। এক্ষেত্রে আপনার নাইট ক্রিমে ভিটামিন C, ভিটামিন B5, B3, B2, ভিটামিন E আছে কিনা চেক করে নিন।
  • স্কিন এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত জরুরি, কারণ বয়স যত বাড়তে থাকবে তত বেশি
    সংখ্যক কোষ প্রতিদিন মৃত হতে থাকবে। সেই মৃত কোষের পুরু লেয়ার স্কিনের ওপর জমা হতে দিলে, স্কিন ক্রমশ রাফ এবং ডাল হয়ে যাবে। কুড়ি বা তিরিশ বছরের তুলনায় এই বয়সে নতুন কোষ জন্মের হার কমে যায়, ফলে যতটুকু নতুন কোষ জন্মাচ্ছে, তাদের ওপরের লেয়ারে নিয়ে আসার জন্য এবং যাবতীয় অ্যাডেড নিউট্রিশন তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওপরে জমে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেওয়া প্রয়োজন।
  • লাইট অথবা হেভি- যে মেকআপই করেন না কেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেটি রিমুভ করুন।
  • স্কিন এজিং-এর ক্ষেত্রে সূর্যরশ্মিতে থাকা UVA এবং UVB-এর ভূমিকা অপরিসীম। সুতরাং এর হাত থেকে বাঁচতে সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে।
  • প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করো।
    মিনিমাম ৬ ঘণ্টা ঘুম দরকার দীর্ঘদিন স্কিনকে ফ্রেশ অ্যান্ড ইয়ং রাখার জন।