২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কোনও সদস্যকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করতে চলেছে। সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ শশী থারুর৷ অন্যদিকে রয়েছেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। পরিচয়ে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ গেহলোট। অন্যদিকে, কংগ্রেসের খোলনলচে বদলানোর জন্য সরব হওয়া শশী থারুরের মধ্যে জোরকদমে লড়াই শুরু হয়েছে।
এর কংগ্রেসে কার্যকরী সভাপতির পদ বদলে নতুন কংগ্রেসের জন্য ডাক দিয়েছিলেন জি-২৩ নেতারা। এজন্য সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিও দেন তারা। সেই শিবিরের একের পর এক নেতারা ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাজ্যস্তরে কংগ্রেসের বিপর্যয় নেমে আসতে শুরু করেছে। এমত অবস্থায় সভাপতি পদের জন্য শশী থারুরকে সবুজ সংকেত দিলেন সোনিয়া গান্ধী। সোমবার এই খবর জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, সোমবার সোনিয়া গান্ধী দিল্লি ফিরতেই তার বাসভবনে যান শশী। সেখানেই কথা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন শশী। সূত্রের খবর, সভাপতির দৌড়ে রাহুল গান্ধীকে পুনরায় ফেরত আনার কথা বলে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন৷ এখন তিনি নিজে সভাপতি দৌড়ে থাকলে রাহুল গান্ধীর অনুগামী সমর্থন পাবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য এগিয়ে আসবেন গেহলোট? তাহলে কী রাজস্থানের রাজপাট দেখবেন শচীন পাইলট? বদলেএ এই সম্ভাবনার মধ্যেই শশীর পাল্লাভারী রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, বিরোধী শিবিরে গেহলোট জনপ্রিয় নেতা হলেও শশী থারুরের গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্যদের বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদের থেকে বেশী।
গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের খোলনলচে বদলানোর জন্য চিঠি দিয়েছিলেন শশী। এমনকি এক ব্যক্তি, এক পদের কথা মাথায় রেখে নতুন কংগ্রেস গঠনের দাবি তোলেন তিনি। বিপর্যয়মুখী কংগ্রেস নিয়ে তার ভাবনার পরেই দায়িত্ব সঁপে দিলেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। প্রায় ২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে এক সভাপতি হতে চলেছে৷ তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।