দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় পর ফের জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করার জন্যই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই জরুরি বৈঠক ডেকেছে। ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ হয়। তবে ওই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে বিরত ছিল ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। প্রস্তাবের পক্ষে ১১টি ভোট পড়ে। উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে শেষবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ ধরনের জরুরি বৈঠকে বসেছিল।
এই বৈঠকের কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ শাহিদ তাঁর বিদেশ সফর বাতিল করেছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনি গুতারেসের জেনেভা যাওয়ার কথা ছিল। গুতারেসও তাঁর জেনেভা সফর বাতিল করেছেন। ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রবিবারই নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসে ছিল। রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগজনক। ভারত মনে করে, দু’দেশেরই আরও সংযত হওয়া উচিত। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তাদের এই সমস্যা মেটাতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন নিয়ে ভোটাভুটিতে ভারত ভোটদানে বিরত থাকে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে ভারতের ভূমিকায় ইউক্রেন কিছুটা হতাশ। অন্যদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি লিন্ডা টমাস জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়টি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় তোলা হবে। কারণ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বেকায়দায় পড়বে মস্কো।