Pakistan: সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, অনাস্থা ভোট নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

দীর্ঘ টালমাটাল পরিস্থিতির পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়লেন ইমরান খান। কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার হিসেবে আপাতত বহাল হয়েছেন গুলজার আহমেদ। এই গোটা প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট আলভির সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় হবে শুনানি।

Advertisements

শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি মুনিব আখতার বলেছেন, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের মতো কোনও সিদ্ধান্তকে নাকচ করতেই পারেন। আন্তর্জাতিক মহলও পাক সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছেন, সরকার ভেঙে দিয়ে তাঁরা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেন। সেটা জানার পরেও কেন বিরোধীরা আদালতে দৌড়াদৌড়ি করছে সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। অথচ বিগত তিন বছর ধরেই বিরোধীরাই আগাম নির্বাচনের দাবি করে আসছিল।

প্রসঙ্গত, ইমরান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান সোমবার। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। বর্তমানে সরকার চলছে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান বেছে নেন গুলজারকে। দেশের তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলের কোর কমিটির সেই বৈঠকেই তদারকি প্রধানমন্ত্রী পদে গুলজারের নাম সুপারিশ করেন ইমরান খান। সর্বসম্মতিক্রমেই গুলজারের নাম চূড়ান্ত হয়।

Advertisements

তবে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম নির্বাচনের বিষয়টিকে অবৈধ বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ বলেছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট আলভি এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান দুজনেই আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।শাহবাজের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফাওয়াদ বলেছেন, পাকিস্তান নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু শাহবাজ বলছেন যে, তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ নেবেন না। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।