পাঁচজন ইউক্রেনের সৈন্য এবং একটি জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র দাঁড়িয়েছিল কিয়েভের বাইরে। রাশিয়ার সাঁজোয়া যানের অগ্রগতি ঠেকাতে কিয়েভের উত্তর-পূর্বের চেকপয়েন্টের পাশে দাঁড়ানো সেই দলের উপর ছুটে এল গ্র্যাড মিসাইল। একটি বিস্ফোরণেই কয়েকশো মিটার দূরে ছিটকে গেল তারা।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টায় মরিয়া রুশ সেনা। রাশিয়া কিয়েভের দরজায় কড়া নাড়ছে। ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছে শহরে। হাজার হাজার মানুষ বুচা এবং ইরপিনের মতো শ্রমিক শ্রেণির শহর থেকে ইউক্রেনের রাজধানীতে পালিয়ে এসেছিল। কিন্তু তারাও এখন গোলাগুলির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে কিয়েভের উত্তর-পূর্ব এখনও পর্যন্ত অনেকটাই নিরাপদ। রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে একটি সড়কপথ দিয়ে রাশিয়ানরা রাজধানীতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার সেখানে একটি রাশিয়ান সাঁজোয়ার অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়। কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনী তা ধ্বংস করে। তবে রাশিয়ানরা খুব বেশি পিছিয়ে যায়নি।
এক ইউক্রেনীয় জানিয়েছেন, গত রাতেই সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা হামলা হয়। যতবারই রাশিয়ানদের তাড়াচ্ছে ইউক্রেনের সেনা, তারা ততবারই ফিরে আসছে। কোনওভাবেই পিছু হটতে নারাজ রুশ বাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়ার অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে। কিন্তু পশ্চিমের সহায়তায় স্থানীয়রা খুশি নয়। তাদের বক্তব্য, যদি ন্যাটো এমন একটি শক্তিশালী সংস্থা হয়, তাহলে তারা কেন ইউক্রেনের আকাশ বন্ধ করে দিচ্ছে না।
প্রসঙ্গত মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা জোট রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে আরও বড় যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে- এই আশঙ্কায় যুদ্ধবিমান পাঠাতে অস্বীকার করেছে।
কিয়েভের স্বল্প-উন্নত উত্তর-পূর্ব প্রান্তে মাঠ এবং খোলা রাস্তা রয়েছে। সেখান দিয়ে রাশিয়ান ট্যাঙ্কগুলি কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সেখানেও প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। তবে কিয়েভবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন, কবে এর শেষ হবে। তারা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন নিজেদের বাড়িতে। কিয়েভের পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত হলেও অনেকে নিজেদের ভিটে ছেড়ে কোথাও যাননি। অনেকেই বলেছেন, তাঁরা মরতে ভয় পান না। মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়বেন তাঁরা।