ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই কিয়েভে সেনা তৎপরতা কমানো শুরু হয়ে গিয়েছে। তুরস্কে ইউক্রেনের সাথে মুখোমুখি শান্তি আলোচনার পর মস্কো বলেছে যে তারা কিয়েভ এবং চেরনিহিভের দিকে সামরিক তৎপরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় সংঘাত। তুরস্কে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর তা স্থগিত করা হয়েছে। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং আরও আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে একটি চুক্তি করা হয়েছে। দুই দেশ তাতে সম্মতি দিয়েছে ও স্বাক্ষর করেছে।
তবে সামরিক অভিযান কমানোর আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতি সংশয় দেখায় ইউক্রেন। পশ্চিমের কিছু দেশ এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে যে মস্কো তাদেরও আক্রমণ করতে পারে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন জো বাইডেন। তবে তুরস্কের আলোচনার পর একটি রফাসূত্রে বের হবে বলে আশা করা যায়। দুই দেশের তরফে এও জানানো হয়েছে এও আলোচনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।