Battle of Kiev: ৮০ বছর পরেও সেই রুশ সেনা কিয়েভের রাজপথে, অন্তরালে নব্য নাৎসি তত্ত্ব

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক ভরকেন্দ্র কিয়েভ নব্বই দশকে পৃথক ইউক্রেন দেশের রাজধানী হয়ে যায়। সোভিয়েত ভেঙে সবকটি অঙ্গরাজ্য স্বাধীন হয়েছিল। তার অন্যতম ইউক্রেন…

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক ভরকেন্দ্র কিয়েভ নব্বই দশকে পৃথক ইউক্রেন দেশের রাজধানী হয়ে যায়। সোভিয়েত ভেঙে সবকটি অঙ্গরাজ্য স্বাধীন হয়েছিল। তার অন্যতম ইউক্রেন ও রাশিয়া। সেই ইউক্রেনে আরও একবার রুশ সেনার দাপট চলছে। যেমনটা হয়েছিল আট দশক আগে। তখনকার সোভিয়েত লালফৌজ (এখন নেই) হামলায় কিয়েভ শহর ছেড়ে পালায় জার্মানির নাৎসি বাহিনী।

১৯৪১ সালের বিখ্যাত কিয়েভ লড়াই (Battle of Kiev) ছিল নাৎসিদের রুশ অভিযানের কফিনে দ্বিতীয় পেরেক পোঁতার পালা। মস্কো দখলে ব্যর্থ নাৎসিদের তাড়া করে সোভিয়েত সেনা। সেই তাড়া একদম জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গিয়ে শেষ হয়েছিল। নাৎসি সরকারের গর্ভগৃহে সোভিয়েতের পতাকা উড়িয়ে দেন সেনা সদস্যরা।

আট দশক পর সেই কিয়েভ শহরের রুশ সেনা হামলার ছবি ও পুরনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছবি একসঙ্গে তুলনা ও বিশ্লেষণে আসছে ইউরোপে নব্য নাৎসি ভাবাবেগ তত্ত্ব।এই নব্য নাৎসি ভাবাবেগ ইউক্রেনে তীব্রতর হয়েছে এমনই জানাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। 

রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রবণতা বেড়ে চলেছে ইউক্রেনে। বিবিসির খবর, ইউক্রেনে হামলার জন্য যে কয়েকটি কারণ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিবেচনা করেছিলেন, তার একটি হলো নব্য নাৎসিদের দমানো। বাকি কারণ বিশেষ আলোচিত, ইউক্রেনের ভিতর রুশপন্থী এলাকাকে নিজেদের দিকে টেনে আনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি দেশকে রক্ষায় যুদ্ধের পথই নিয়েছেন, আবার আলোচনাতেও আগ্রহী। তিনি কি নব্য নাৎসি পন্থী? রাশিয়ার দাবি, জেলেনেস্কির আমলে ইউক্রেন সেদিকেই মোড় নিয়েছে।

আলজাজিরা ও ইন্টারফ্যাক্স নিউজ জানাচ্ছে, রাশিয়ার তরফে আক্রমণের যুক্তি হিসেবে যতই রুশপন্থীদের সাহায্য বলুক মস্কো আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ন্যাটো বাহিনীকে সমঝে দেওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি পুতিন। ফলে ন্যাটো সদস্য না হয়েও নব্য নাৎসি শিবির ঘেঁষা ও মার্কিন লবির দেশ হওয়ার খেসারত দিচ্ছে ইউক্রেন।

রয়টার্সের বিশ্লেষণ, যেহেতু ন্যাটোর সদস্য দেশ নয় ইউক্রেন তাই বাকিরা যুদ্ধে নামেনি। আবার এও উঠে আসছে, ইউরোপে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার শক্তি কোনও দেশেরই নেই। যেমনটা ছিল না পূর্বতন সোভিয়েত আমলে।